জি৭ সামিটে যোগ দিতে হাজির হয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। (বাঁ দিক থেকে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মানি চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলেন্ডে। ছবি: রয়টার্স।
পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা জি-৭ সম্মেলনে তুলে ধরতেই শনিবারে দক্ষিণ জার্মানির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ দিকে প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে দিয়েই দু’দিনের জি-৭ সম্মেলনে একে একে হাজির হয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। তাঁদের স্বাগত জানান জার্মানি চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে সব দেশগুলিই যে এগিয়ে আসবে আশাবাদী তিনি। কারণ এই সম্মেলনে আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় এটি। এ ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য, ইবোলার মতো মারণ রোগের বিষয়টিও উঠে আসবে সম্মেলনের বৈঠকে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তবে যে বিষয়টির দিকে সারা বিশ্বের নজর থাকবে তা হল গ্রিস ও ইউক্রেনের অচলাবস্থা। সম্মেলনের শুরুতেই গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লড জাঙ্কার।
এ দিন ওবামা জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানের সরব হওয়া উচিত। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও সকলকে এগিয়ে আশতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জার্মানিও আমেরিকার সঙ্গে একটা মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়েছে। কারণ জার্মানিতে মার্কিন চরবৃত্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই কিছুটা সম্পর্কের ‘অবনতি’ হয় দু’দেশের মধ্যে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক জানান, তিনি আশাবাদী এই সম্মেলনে সকলেই একজোট হবে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।