বাবু সেন।—ফাইল চিত্র।
মধ্যমগ্রামের জমি মাফিয়া বাবু সেন ও তাঁর সঙ্গী নুঙ্কাইকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হল আরও এক জন। ধৃতের নাম অভিজিত্ সরকার ওরফে বান্টি। শুক্রবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর দমদম থানা এলাকার দুর্গানগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেরায় সে দিনের ‘অপারেশনে’ গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে বান্টি। শনিবার বান্টিকে বারাসত আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃত বান্টি আর এক ধৃত বাবু ঘোষের সহযোগী বলে দাবি পুলিশের।
গত ৭ মে জনাকীর্ণ মধ্যমগ্রামের উড়ালপুলে গাড়ি থামিয়ে গুলি করে মারা হয়েছিল জমি-মাফিয়া বাবু সেন এবং তার সঙ্গী নিতাই পাল ওরফে নুঙ্কাইকে। এই জোড়া খুনের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয় প্রদীপ দেব ওরফে পদ এবং বাবু মণ্ডলকে। লেকটাউন বোট ক্লাব এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাবু ঘোষ নামে এক প্রোমোটারকে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের জালে ধরা পড়ে নাভাস কর্মকার নামে এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও এক দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার সূত্রে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বাবু সেন এবং বাবু মণ্ডলের। প্রোমোটিংয়ে নামার পর সেই ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। ধীরে ধীরে কামারহাটি-মধ্যমগ্রাম এলাকায় দু’জনেই পরিচিত হয়ে ওঠে জমি-মাফিয়া হিসেবে। প্রোমোটিং-ব্যবসায় সিন্ডিকেট ঘিরে তাদের মধ্যে রেষারেষি চরমে ওঠে। বাবু মণ্ডল পুলিশকে জানায়, বাবু সেন তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। তার পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে বাবু মণ্ডল। তার জন্য বরাত দেওয়া হয় বাবু ঘোষ এবং পদকে। প্রোমোটিং নিয়ে গণ্ডগোল মেটানোর প্রস্তাব দিয়ে মধ্যমগ্রামে পদ-র বাড়িতে বাবু সেনকে ডাকা হয়। ফেরার পথে উড়ালপুলে খুন হন বাবু সেন এবং তার সঙ্গী।
কী ভাবে ঘটল ৭ মে-র ‘অপারেশনে’