বিনা চিকিৎসায় জখম যাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ, ট্রেন অবরোধ

ট্রেন স্টেশনে ঢোকার আগে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে জখম হন বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক। ট্রেনের যাত্রীরা জখম ওই যুবককে মেচেদা স্টেশনে নামান। ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ, আধ ঘণ্টা স্টেশনে পড়ে থাকার পরও দেখা মেলেনি আরপিএফ ও অন্য রেলকর্মীদের। কিছু ক্ষণ পর মৃত্যু হয় জখম ওই যুবকের। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রেল কর্মীদের গাফিলতিতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:৩০
Share:

ট্রেন স্টেশনে ঢোকার আগে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে জখম হন বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক। ট্রেনের যাত্রীরা জখম ওই যুবককে মেচেদা স্টেশনে নামান। ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ, আধ ঘণ্টা স্টেশনে পড়ে থাকার পরও দেখা মেলেনি আরপিএফ ও অন্য রেলকর্মীদের। কিছু ক্ষণ পর মৃত্যু হয় জখম ওই যুবকের। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রেল কর্মীদের গাফিলতিতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর শাখায় মেচেদা স্টেশনের এই ঘটনার পরই বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিকেল পৌনে চারটে থেকে শুরু হওয়া অবরোধ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

রেলপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার সিটি সেন্টার এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর দাস (৩৫) কলকাতা পুলিশের কর্মী। কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার জন্য দীপঙ্করবাবু এ দিন দুপুরে হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া-খড়্গপুর লোকালে ওঠেন। প্রত্যক্ষদর্শী ট্রেনযাত্রীরা জানান, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মেচেদা স্টেশনে ঢোকার ঠিক আগে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দীপঙ্করবাবু বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খান। অবশ্য সেই সময় গুরুতর জখম ওই যুবককে ধরে ফেলেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা। মেচেদা স্টেশনে ট্রেন থামার পর তাঁকে ট্রেন থেকে নামান তাঁরা। সেই সময় ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থাকা আরপিএফ এবং রেলের টিকিট পরীক্ষকদের কাছে ওই জখম ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন যাত্রীরা। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, প্রায় আধ ঘণ্টা স্টেশনে পড়ে থাকার পরও কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। কিছু পরে আরপিএফ ও কয়েক জন রেলকর্মী জখম ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসে। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে মেচেদা আরপিএফ, পাঁশকুড়া জিআরপি ও কোলাঘাট থানার পুলিশ বাহিনী মেচেদা স্টেশনে আসে। অবরোধকারীরা কর্তব্যরত রেলকর্মীদের গাফিলতির জন্য শাস্তির দাবি জানান। অবরোধকারীদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় দেরির বিষয়টি স্বীকার করেননি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জখম ওই ব্যক্তিকে দ্রুত কাছের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখানোয় দু’ঘণ্টা আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন