ধস নেমে এমনই হাল রাস্তার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
শহরের রাস্তায় একের পর এক ধস। শ্যামবাজার, শোভাবাজার,চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, উল্টোডাঙা স্টেশনের পরে এ বার রাজা রামমোহন রায় সরণিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঠনঠনিয়া গ্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের সামনে রাস্তার পাশে প্রায় দু’ফুট লম্বা ও ছ’ফুট গভীর ধস দেখতে পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনে খবর দেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন এলাকার কাইন্সিলর –সহ পুরসভার আধিকারিকেরা। দুর্ঘটনা এড়াতে ধসের অংশ গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। পরে পুরকর্মীরা এসে মেরামতির কাজ শুরু করেন। এই ঘটনায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। ব্যস্ত সময়ে রাস্তা আটকে রাখার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে আচমকা রাস্তাটির একাংশ ধসে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলর সাধনা বসু অবশ্য এই ঘটনার জন্য একটি বেসকারি সংস্থাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পুরসভার পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, মাটির নীচে একটি বেসকারি সংস্থার কাজ চলছিল। তারই পাইপ ফেটে গিয়ে রাস্তায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে।” ওই এলাকায় মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত কয়েক মাসে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা ধসেছে। ধসের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে রাস্তার নীচে সাম্রাজ্য বিস্তার করা ইঁদুরেরা কিংবা পাইপ ভাঙা।