মধ্যপ্রদেশে অবৈধ বালিবোঝাই ট্রাক আটকাতে গিয়ে কনস্টেবলের মৃত্যু

বালি মাফিয়াদের আটকাতে গিয়ে প্রাণ গেল এক হেড কনস্টেবলের। রবিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের মোরেনায়। মৃতের নাম ধর্মেন্দ্র চৌহান। তিনি নুরাবাদ থানায় কর্মরত ছিলেন। কী হয়েছিল এ দিন? পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে মোরেনার নুরবাদ থানার অন্তর্গত লৌগড় গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এক দল দুষ্কৃতী লুকিয়ে রয়েছে। ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে অভিযানে যান নুরবাদ থানার হেড কনস্টেবল ধর্মেন্দ্রবাবু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:৪৯
Share:

বালি মাফিয়াদের আটকাতে গিয়ে প্রাণ গেল এক হেড কনস্টেবলের। রবিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের মোরেনায়। মৃতের নাম ধর্মেন্দ্র চৌহান। তিনি নুরাবাদ থানায় কর্মরত ছিলেন। কী হয়েছিল এ দিন?

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে মোরেনার নুরবাদ থানার অন্তর্গত লৌগড় গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এক দল দুষ্কৃতী লুকিয়ে রয়েছে। ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে অভিযানে যান নুরবাদ থানার হেড কনস্টেবল ধর্মেন্দ্রবাবু। গ্রামে গিয়ে তিনি দেখেন রাস্তার পাশে একটি ডাম্পার দাঁড় করানো রয়েছে। গভীর রাতে রাস্তার পাশে ডাম্পার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ধর্মেন্দ্রবাবুর সন্দেহ হয়। তিনি এগিয়ে যান ডাম্পারের দিকে। ডাম্পারটিতে অবৈধ বালি বোঝাই ছিল। পুলিশকে গাড়ির দিকে এগিয়ে আসতে দেখেই চালক গড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। চালক পালাতে চেষ্টা করতেই ধর্মেন্দ্রবাবু চালকের আসনের দিকের দরজায় উঠে পড়ে তাকে জোর করে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চালক ডাম্পারটিকে জোরে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় একটি গর্তে পড়ে ডান দিকে উল্টে যায়। ডাম্পারের তলায় চাপা পড়ে যান ধর্মেন্দ্রবাবু। সেই সুযোগে চালকও ঘটনাস্থল থেকে পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই হেড কনস্টেবলের। ধর্মেন্দ্রবাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাক্তন সেনাকর্মী ধর্মেন্দ্রবাবু গত বছরেই নুরবাদ থানায় কাজে যোগ দেন। গ্বালিয়রে তাঁর বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

মোরেনাতে অবৈধ বালি ও পাথরের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে গত কয়েক বছর ধরে। চম্বল নদী থেকে প্রতি দিন ট্রাক বোঝাই করে বালি পাচার করে মাফিয়ারা। পুলিশ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তাদের আটকানো সম্ভব হয়নি।

Advertisement

অবৈধ বালি পাচার রুখতে মোরেনাতে আগেও প্রাণ দিতে হয়েছে এক আইপিএস অফিসারকে। ২০১২-র মার্চের ঘটনা। আইপিএস নরেন্দ্র কুমার বালিভর্তি ট্রাক্টর আটকাতে গেলে চালক তাঁকে পিষে দেয়। গ্রেফতার করা হয় মনোজ গুর্জর নামে মূল অভিযুক্তকে। চম্বলের আইজি এ দিন জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন