আদালত চত্বরে এআইডিএমকে সমর্থকদের উল্লাস। ছবি:পিটিআই
দিন কুড়ি জেলে কাটানোর পর অবশেষে সাময়িক স্বস্তি। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে শুক্রবার তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন আম্মার আইনজীবীরা। এ দিন এই আবেদনের শুনানি ছিল। জয়ললিতার সঙ্গেই জামিন পেয়েছেন আরও তিন অভিযুক্ত শশীকলা নটরাজন, লাভারাসি এবং মুখ্যমন্ত্রীর পালিত পুত্র ভি এন সুধাকরণ। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর বেঞ্চ জয়াকে আগামী দু’মাসের মধ্যে ফের কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ন’য়ের দশকে ডিএমকে নেতা করুণানিধি রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এর পরেই ৬৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে ‘আম্মা’-র বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করা হয়। একই অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয় এই মামলায় অপর অভিযুক্ত শশীকলা, ভি এন সুধাকরণ ও জে লাভারাসির বিরুদ্ধেও। নানা কারণে বহুবার মামলা পিছনোর পর অবশেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত জয়ললিতা-সহ চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। ১০০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয় আম্মাকে। এর পর থেকেই তাঁর ঠিকানা হয় পারাপান্নার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। আদালতের এই রায়ের পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় আম্মা-সমর্থকদের বিক্ষোভ। এরই মধ্যে কর্নাটক হাইকোর্টে জয়ললিতার জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। গত ৭ অক্টোবর এই আবেদনের শুনানি ছিল। কিন্তু আম্মা-সমর্থকদের আশায় জল ঢেলে এই আবেদন সম্পূর্ণ নাকচ করে দেন বিচারতি এ ভি চন্দ্রশেখর। এর পরেই জামিনের আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন আম্মার আইনজীবীরা।