আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন তাপস পালের

চৌমুহা-কাণ্ডে আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন জানালেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। সোমবার সকালে কৃষ্ণনগর এসিজিএম আদালতে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে এ দিন দুপুর দুটোর সময় শুনানি শুরু হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভজিত্ বসুর এজলাসে পৌঁছন তাপস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং রাজদীপ দাস। কৃষ্ণনগরের সাংসদের হয়ে বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান তাঁরা। বিচারক ওই মামলার নথিপত্র আদালতে জমা দিতে বলেন। এর পর এই বিষয়ে দুপুর দুটোর পর শুনানি শুরু হবে বলেও জানিয়ে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ১০:৩২
Share:

আদালত চত্বরে পৌঁছলেন তাপস পাল। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

চৌমুহা-কাণ্ডে আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন জানালেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। সোমবার সকালে কৃষ্ণনগর এসিজিএম আদালতে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে এ দিন দুপুর দুটোর সময় শুনানি শুরু হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভজিত্ বসুর এজলাসে পৌঁছন তাপস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং রাজদীপ দাস। কৃষ্ণনগরের সাংসদের হয়ে বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান তাঁরা। বিচারক ওই মামলার নথিপত্র আদালতে জমা দিতে বলেন। এর পর এই বিষয়ে দুপুর দুটোর পর শুনানি শুরু হবে বলেও জানিয়ে দেন।

গত ২৮ মে এই আদালতেই সিআইডি তাপসের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। আদালত সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ (শান্তিভঙ্গের জন্য অপমানজনক কথা বলা), ৫০৫ (এমন কথা বলা যাতে উত্তেজনা ছড়ায়), ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকি দেওয়া) এবং ৫০৯ (মহিলাদের প্রতি কটূক্তি) ধারায় অভিযোগ এনেছে সিআইডি। এর মধ্যে প্রথম দু’টির ক্ষেত্রে শাস্তি প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দু’বছরের শাস্তির বিধান রয়েছে। চার্জশিট জমা পড়ার পর গত এক মাসে নিজের সংসদ এলাকায় মাত্র এক বারই এসেছেন তাপস। চাপড়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি।

Advertisement

নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার চৌমুহা গ্রামে গত বছর জুন মাসে তাপস পাল প্রকাশ্যে অনেক খারাপ কথা বলেছিলেন। হুমকিও দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ঘরে দলের ছেলেদের ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে দেব।’’ বা ‘‘নিজের রিভলভার থেকে গুলি করে মারব।’’ প্রথমে সেই ঘটনায় নাকাশিপাড়া থানায় সাংসদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় এক মহিলা। পুলিশের তরফে একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়। এর পর নাকাশিপাড়া থানাতেই ফের তাপসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিপ্লবকুমার চৌধুরী নামে এক সমাজকর্মী। কিন্তু, তাপসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের না হওয়ায় বিপ্লববাবু এর পর সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ বিপ্লববাবুর অভিযোগকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার পরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন