ফল প্রকাশের পরেও সন্ত্রাস জারি রাজ্যে, অভিযোগ

পুরভোটের ফল ঘোষণা হতে না হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। মঙ্গলবার কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯২টি পুরসভার মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছে ৭০টি। বিরোধীদের মধ্যে বামেরা জিতেছে মাত্র ৬টিতে। কংগ্রেস ৫টি এবং ত্রিশঙ্কু হয়েছে ১১টি পুরসভায়। পরিসংখ্যানের নিরিখে বিরোধীরা রাজ্য থেকে প্রায় ধুয়েমুছে গিয়েছে। তবুও, ভোট-পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বিরোধীকণ্ঠ রোধে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা— এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। শাসক দল অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ১৯:২২
Share:

পুরভোটের ফল ঘোষণা হতে না হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। মঙ্গলবার কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯২টি পুরসভার মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছে ৭০টি। বিরোধীদের মধ্যে বামেরা জিতেছে মাত্র ৬টিতে। কংগ্রেস ৫টি এবং ত্রিশঙ্কু হয়েছে ১১টি পুরসভায়। পরিসংখ্যানের নিরিখে বিরোধীরা রাজ্য থেকে প্রায় ধুয়েমুছে গিয়েছে। তবুও, ভোট-পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বিরোধীকণ্ঠ রোধে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা— এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। শাসক দল অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

এ দিন কোচবিহারে সিপিএম সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জেলা সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন দুপুরে তাদের মহিলা সমর্থক মর্জিনা বিবি ও তাঁর ছেলে সফিকুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। কোচবিহার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী পার্থ সেনগুপ্ত জেতায় এলাকায় তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মারের চোটে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সফিকুল। তাঁকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্য দিকে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও হিংসার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের শুভজিৎ কুণ্ডু ১১ নম্বরে জয়ী হন। কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “ফল প্রকাশের পর এলাকায় বিজেপি পার্টি অফিসে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল।” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। দু’টি ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানায় বিরোধীরা। তবে পুলিশ এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নিত্যানন্দ বসাকের অভিযোগ, বিজয়-মিছিলে হামলা চালিয়েছে শাসক দল। নিত্যানন্দবাবু জানান, এক বিজেপি-কর্মীকে মিছিলের মধ্যেই মারধর করেছে তৃণমূলের সমর্থকেরা। এখানেই শেষ নয়। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বিজেপি-প্রার্থীর বাড়িতেও ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূল ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিত্যানন্দবাবু। বিরোধীদের মনে ত্রাস সঞ্চারের জন্য ওই বাড়িতে রাখা একটি সাইকেলও ভেঙেছে তারা। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর দাবি, “পুরোটাই তৃণমূল নেত্রীর বিজেপি-হটাও ষড়যন্ত্র!” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। সবই ভুয়ো প্রচার।”

উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাদরাল মুখার্জিপাড়ার বাসিন্দা নির্দল প্রার্থী বুলবুল সরকার তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করেন। অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও বোমা ছোড়া হয়। তার জেরে জানলার কাচ ভাঙে। সোমবার রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলীয় কর্মীদের মারামারির ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদিও বলেন, ‘‘মিথ্যা রং চড়ানো হচ্ছে। বিরোধীরা যে নির্মূল হয়ে গিয়েছে সেটা তারা মানতে পারছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন