ডাকাত দলেই পুলিশ! সোমবার রাতে নলহাটিতে ধৃত আট দুষ্কৃতীকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে একটি অ্যাম্বাসাডর গাড়িতে করে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জড়ো হয়েছিল ওই দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নলহাটি থানার সিএডিসি মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি ৭ এমএম রিভলভার, একটি দেশি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি অ্যাম্বাসাডর গাড়িটিও। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দু’জন নলহাটি থানার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা। এরা হল রাজু মণ্ডল ও লালচাঁদ মণ্ডল। বাকি ছ’জন মালদহের কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে দু’জনের কাছ থেকে সিভিক পুলিশের সচিত্র পরিচয় পত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ওই দু’জনের নাম ফারুখ শেখ ও জিরাত আলি। ফারুক এক জন সিভিক পুলিশ কর্মী। সে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার গুলজারতলার বাসিন্দা। জিরাত আলিও বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। সে কাজ করে গ্রামীণ পুলিশে। এদের সঙ্গে আরও কোনও বড় চক্র জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে লালচাঁদ, জিরাত, ফিতু শেখ এবং আব্দুল শেখকে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।