সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরীর জীবনাবসান

প্রবীণ সাংবাদিক, ছড়াকার, লেখক, সাহিত্যিক অমিতাভ চৌধুরীর জীবনাবসান হল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার ভোরে রানিকুঠির রিজেন্ট পার্কের সরকারি আবাসনে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রায় এক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। ১৯২৮ সালের ১৬ জুলাই শ্রীহট্টে জন্মগ্রহণ করেন অমিতাভ চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৫ ১৩:০৪
Share:

অমিতাভ চৌধুরী। ফাইল চিত্র।

প্রবীণ সাংবাদিক, ছড়াকার, লেখক, সাহিত্যিক অমিতাভ চৌধুরীর জীবনাবসান হল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার ভোরে রানিকুঠির রিজেন্ট পার্কের সরকারি আবাসনে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রায় এক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি।

Advertisement

১৯২৮ সালের ১৬ জুলাই শ্রীহট্টে জন্মগ্রহণ করেন অমিতাভ চৌধুরী। বেড়ে ওঠা অসমের কাছাড়ের এক চা বাগানে। পড়াশুনা কলকাতা এবং শান্তিনিকেতনে। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাংবাদিক হিসাবে যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। পরে পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হন। ৭০-এর দশকের শেষ দিকে যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন যুগান্তর পত্রিকায়। পরবর্তী কালে আজকাল পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন অমিতাভবাবু।

জীবদ্দশায় শতাধিক বই লিখেছেন এই সাহিত্যিক। ছিলেন এক জন প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ। বলতেন, “আলখাল্লার ভিতরের মানুষ রবিকে চেনানোর চেষ্টা করেছি চিরকাল।” সাংবাদিকতার পেশার সূত্রে ইন্দিরা গাঁধী, মুজিবর রহমান, সুচিত্রা সেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে পান পদ্মশ্রী পুরস্কার । ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ উপাধিতে সম্মানিত করে। ওই বছরই শিলচর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেয়।

Advertisement

পেশায় প্রবেশের আগে বিশ্বভারতীতে শিক্ষকতা করতেন অমিতাভবাবু। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন ছেলে অনির্বান, পুত্রবধু মধুরিমা এবং নাতনি সুনন্দনাকে। ২০০৩ সালে মারা যান তাঁর স্ত্রী সুনন্দা চৌধুরী। এ দিন দুপুরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement