ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সাংসদ, বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপরেই ছেড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ না দিলেও অপরাধীদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না দিতে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করতে জনৈক মনোজ নারুলা সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে জানায়, “মন্ত্রী তথা মন্ত্রিসভার সঙ্গে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আবেগ জড়িত। নৈতিক ভাবে কোনও অপরাধীকে মন্ত্রিসভার সদস্য না করাই বাঞ্ছনীয়। সংবিধান অনুযায়ী এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব না হলেও জাতীয় স্বার্থে এঁদের বাদ দিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করা উচিত্।”
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার ৩০% সদস্য কোনও না কোনও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত। এর মধ্যে ১৮ শতাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। অপরাধীদের তালিকায় রয়েছেন জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী উমা ভারতী, লোক জনশক্তি পার্টির সুপ্রিমো রামবিলাস পাসওয়ান-সহ অনেক নেতা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ফৌজদারি মামলায় জড়িত নেতাদের মামলাগুলি দ্রুত শেষ করতে শীর্ষ আদালতের কাছে অনুরোধ করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই মতো নিম্ন আদালতগুলিকে মামলাগুলির দ্রুত নিস্পত্তির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে, এই বিষয়ে যে কোনও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করা সম্ভব না, তা-ও জানিয়ে দেয় আদালত। গত বছর জুলাই মাসে আদালত নির্দেশ দেয় অপরাধ প্রমাণীত হলে এবং অপরাধীর দু’বছর বা তার বেশি কারাবাসের সাজা হলে সেই সাংসদ অথবা বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ করা হবে।