নাটক এবং বাস্তবের ফারাকটা অমেঠী আলাদা করতে পারে। শনিবার রাহুল গাঁধীর সমর্থনে প্রচারে এসে এ ভাবেই বিরোধীদের বিঁধলেন প্রিয়ঙ্কা বঢড়া। এমনকী, গত কয়েক দিনের জল্পনায় জল ঢেলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অমেঠী এবং রায়বরেলীর বাইরে কোনও কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন না। বারাণসীতেও নয়। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে প্রচার করতে বারাণসীর কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রায়ের সমর্থনে প্রচারে যাবেন তিনি।
এ দিন অমেঠীর জনসভায় বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বিরোধীদের সঙ্গে এখানকার মানুষের কোনও বোঝাপড়াই হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। অমেঠীবাসীকে তিনি অনুরোধ করেন, “বহিরাগতদের কোনও ভোট না দেবেন না।” এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি সম্পর্কে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “অনেকেই এখানে এসে প্রশ্ন তুলছেন, অমেঠীতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এর আগে দিল্লির চাঁদনি চক থেকে দাঁড়ানো ওই প্রার্থীর কাছে আমি জানতে চাই, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর সেই এলাকায় আপনি কি আর কখনও গিয়েছেন?”
প্রিয়ঙ্কা এ দিন দাবি করেন, রাহুলের হাত ধরেই অমেঠীতে উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর মতে, দুগ্ধ শিল্পে এই এলাকা এখন দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে। আগে বাইরে থেকে অমেঠীতে দুধ আমদানী করতে হত। কিন্তু দিন বদলেছে। এখন মাদার ডেয়ারি-সহ বিভিন্ন জায়গায় দুধ সরবরাহ করে অমেঠী। দুগ্ধ শিল্পে এই বিপ্লবের পুরো কৃতিত্ব রাহুলকেই দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, “অমেঠীকে গোটা দেশের সঙ্গে জুড়তে রাস্তাঘাট-সহ রেললাইন বসানোর কাজও করেছেন রাহুল। এমনকী, ওঁর হাতেই বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে এই অঞ্চলে।”
ভাই রাহুলের কথা বলতে গিয়ে এ দিন বাবা রাজীবের প্রসঙ্গও তোলেন প্রিয়ঙ্কা। জনসভায় তিনি বলেন, “বাবা যখন কম্পিউটর ও তথ্যপ্রযুক্তির কথা বলতে শুরু করেন, বিরোধীরা তখন তাঁর বিরোধিতা করতে ছাড়েনি। রাহুলকেও অনেক বাধা পেরিয়ে এগোতে হবে।” প্রিয়ঙ্কার মতে, বিরোধীদের কোনও সমালোচনাতেই অমেঠীবাসী গুরুত্ব দেবেন না। কেন না উন্নয়নের সুফল তাঁরা অস্বীকার করতে পারেন না।