ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের পর জার্সি খুলে ওড়াচ্ছেন পাক হকি খেলোয়াড়রা। ছবি: এএফপি।
পাক হকি খেলোয়াড়দের অশালীন আচরণের প্রতিবাদে ভারতের কড়া হুঁশিয়ারির পর নড়েচড়ে বসল আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ)। ‘অশ্লীল’ ইঙ্গিতের অভিযোগে রবিবার দুই পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করল এফআইএইচ। এঁরা হলেন আমজাদ আলি ও মহম্মদ তৌসিক। ফলে জার্মানির বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তাঁরা খেলতে পারবেন না।
এর আগে এ দিনই পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হকি ইন্ডিয়া। হকি ইন্ডিয়ার সভাপতি নরেন্দ্র ভাটিয়া জানিয়েছেন, পাকিস্তান হকি ফেডারেশন নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সব রকম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বয়কট করবে ভারত। ফলে ২০১৫-য় দু’দেশের মধ্যে হকি সিরিজ সংশয়ের মুখে দাঁড়াল।
ভারতের এই কড়া মনোভাবের কাছে কার্যত নতি স্বীকার করেই এ দিন পাক হকি কোচ শাহনাজ শেখ আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) ও হকি ইন্ডিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এফআইএইচ-এর প্রতিনিধি কেন রিড পাক কোচের ক্ষমা স্বীকার করে লেখা চিঠিটি সংবাদমাধ্যমকে পড়ে শোনান। শাহনাজ শেখ তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শনিবার ভারত-পাক ম্যাচের পরে যে ঘটনা ঘটেছে তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। পাক হকি ফেডারেশনের কাছেও এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
ভারত-পাক মানেই চির প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সে ক্রিকেটের ময়দান হোক বা হকি। শনিবার ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করেও ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় ভারত। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে মাঠেই পাক হকি খেলোয়াড়রা ‘অ-খেলোয়াড়চিত’ আচরণ করেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে এবং কিছুটা ‘ব্যঙ্গ’ করেই মাঠের মধ্যেই জার্সি খুলে স্টেডিয়ামে ভারতীয় দর্শকদের প্রতি ‘অশ্লীল’ ইঙ্গিত করেন।
পাক খেলোয়াড়দের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয় হকি ইন্ডিয়া। এই ধরনের আচরণের জন্য পাকিস্তানকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সংস্থাটি। সেই সঙ্গে সংস্থার কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারিও দেন যত ক্ষণ না পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে তাদের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ত্যাগ করা হবে।