ইটাহারে ডাকাতি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠল ইটাহারে। অভিযোগ, ডাকাতি সেরে পুলিশের সামনে দিয়ে বিনা বাধায় পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার চূড়ামণ বাসুদেবপুর এলাকায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা বাসুদেবপুর এলাকার চূড়ামণ-চাঁচল রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ায় বেলা ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৫ ২২:১৩
Share:

ডাকাতির পর। ছবি: গৌর আচার্য।

ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠল ইটাহারে। অভিযোগ, ডাকাতি সেরে পুলিশের সামনে দিয়ে বিনা বাধায় পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার চূড়ামণ বাসুদেবপুর এলাকায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা বাসুদেবপুর এলাকার চূড়ামণ-চাঁচল রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ায় বেলা ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে চুড়ামণ বাসুদেবপুর এলাকায় একটি দোতলা বাড়িতে ডাকাতি হয়। একতলা-দোতলা মিলিয়ে বাড়ির পাঁচটি ঘরে পাঁচ ভাই তাঁদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকেন। তাঁদের নাম উদয় দাস, আনন্দ দাস, লাল্টু দাস, প্রবীর দাস ও কিঙ্কর দাস। পাঁচ জনের সকলেরই অলঙ্কার ও ডেকোরেটরের ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল মুখে কাপড় বেঁধে উদয়বাবুদের বাড়ির পেছনের দেওয়াল বেয়ে ছাদে ওঠে। ছাদের সিঁড়ি দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এর পর একতলা ও দোতলায় ঘরের কাঠের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। দুষ্কৃতীরা পাঁচ ভাইকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আলমারি ভেঙে নগদ ৮০ হাজার টাকা, ১৭ ভরি সোনার অলঙ্কার ও চারটি মোবাইল লুঠ করে নেয় বলে অভিযোগ। লুঠপাট চালানো ছাড়াও ঘরের সমস্ত আলবাবপত্র লণ্ডভণ্ড করে দেয় তারা। উদয়বাবুদের চিত্কারে এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

Advertisement

ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু দুষ্কৃতীরা একটি বোমা ফাটিয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে ওই পরিবারের অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ অন্ধকারে গুলি চালায় বলে দাবি করেন উদয়বাবুরা। পুলিশ সক্রিয় হলে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে পালাতে পারত না বলে দাবি করেছেন ওই পরিবারের লোকজন।

জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা অবশ্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চাননি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা মালদহের চাঁচল থানা এলাকা থেকে এসেছিল। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন