ছবি: এএফপি
ইরাকে বিমান হানা চালাল ফ্রান্স। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রানকোসিস ওলান্দে জানান, শুক্রবার ইরাকের উত্তর-পূর্বে ইসলামিক স্টেট (আইসি)-এর ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। কয়েক দিন ধরেই ইরাকে বিমানে নজরদারি চালাচ্ছিল ফ্রান্স।
আইএস-এর অগ্রগতি রুখতে অগস্টের প্রথম দিক থেকে লাগাতার বিমান হানা চালাচ্ছে আমেরিকা। প্রথমে দিকে মার্কিন সম্পদ এবং নাগরিকদের রক্ষা এবং আইএস-এর অগ্রগতি আটকাতে কুর্দ পেশমেরগা, ইরাকি সেনা এবং শিয়া মিলিশিয়াকে সাহায্য করতে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইএস-কে দমন করার নীতি ঘোষণা করার পরে মার্কিন বায়ুসেনা আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে। এ পর্যন্ত তারা প্রায় ১৭০ বার ইরাকে বিমান হানা চালিয়েছে।
এ দিন ফ্রান্সের বিমান হানার কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে এই যুদ্ধে ফ্রান্সের স্থলসেনা যে অংশ নেবে না তা-ও প্রেসিডেন্ট ওলান্দে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ওলান্দে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মালি ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের পরে ইরাকে ফ্রান্সের সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হল।
ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এ দিনের হামলায় রাফায়েল যুদ্ববিমান অংশ নেয়। এই হানায় লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। ইরাকি সেনা সূত্রে খবর, ফ্রান্সের চারটি যুদ্ধবিমান জুমার শহরে হামলা চালায়। এই হামলায় প্রায় ১২ জন আইএস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্সের সামরিক অংশগ্রহণ আমেরিকাকে স্বস্তি দিলেও সিরিয়ায় কোনও ধরনের হামলায় ফ্রান্স যে অংশ নেবে না তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে সিরিয়ায় কোনও অভিযান চালাতে হলে আমেরিকাকে আপাতত একাই যেতে হবে। এই বিমান হানাকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন সেনার চিফ অফ স্টাফস জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি। ফ্রান্সের পাশাপাশি ইরাকে বিমানে নজরদারি চালাচ্ছে ব্রিটিশ বায়ুসেনাও।