জি-২০ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যবটের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এএফপি।
বিদেশ থেকে কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনের আগেই। ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই মতো কাজও চলছে সরকারের তরফে। আর এ বার জি-২০-এর বৈঠকেও কালো টাকা নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিকূলতা থাকলেও কেন্দ্র যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। শনিবার ব্রিসবেনে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকের সময়ে এই কথা বলেছেন মোদী।
দশ দিনের বিদেশ সফরে শুক্রবার ব্রিসবেন পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে এ দিন ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক মিলিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রোসেফ। এই বৈঠকেই কালো টাকা নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন মোদী। দেশে কালো টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি ও তাঁর সরকার যে বদ্ধপরিকর তাও জানান তিনি। “কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা আমাদের প্রধান ও প্রাথমিক কাজ।”—বলেন মোদী। এ বিষয়ে ব্রিকস-এর সদস্য দেশগুলির কাছে সাহায্য চান প্রধানমন্ত্রী। সদস্য দেশগুলির নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। কালো টাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছিলেন সে দেশে কর ফাঁকি দেওয়াকে ঠেকাতে কতটা ‘আক্রমণাত্মক’ ভূমিকা নিয়েছে তাঁর সরকার। এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে ভারত সরকারও।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজকে সরল করার জন্য সংস্কারের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জোর দেওয়া হয়েছে আর্থিক সংস্কারেও। এর সুফলে বহু দিন পর তলানিতে নেমে এসেছে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি। তবে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা এসেছে অনেক। প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, “প্রতিকূলতা থাকবেই। কিন্তু সংস্কার প্রক্রিয়া থেকে পিছিয়ে এলে চলবে না। রাজনৈতিক চাপ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।” সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্তরে তথ্য আদানপ্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।