সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
২০২৫ সালে একটিও অর্ধশতরান মারতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব। এক বছরে ১৯ ম্যাচে করেছেন ২১৮ রান। ১৩.৬২ গড়ে রান করেছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সামনেই দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে রানের খরা কাটাতে সতীর্থ তিলক বর্মার সাহায্য পাচ্ছেন সূর্য।
ভারতের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করেন তিলক। সূর্য ব্যাট করেন চার নম্বরে। অর্থাৎ, অনেকটা সময় একসঙ্গে খেলেন তাঁরা। সেই সময় সূর্যের উপর থেকে চাপ কমানোর টোটকা দিয়েছেন তিলক। তিনি বলেন, “আমি ওকে বলেছি, কয়েকটা বল ব্যাটের মাঝে খেলতে। সময় দিতে। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করতে। যদি সেই সময় দরকার পড়ে তো আমি ঝুঁকি নেব। আমি রান তোলার গতি বাড়াব। তাতে ও খানিকটা সময় পাবে।”
তিলকের মতে, সূর্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলে ওর থেকে ভয়ঙ্কর ব্যাটার ছোট ফরম্যাটে খুব কম আছে। তিলক বলেন, “যদি সূর্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়, তা হলে ও কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা আমরা সকলে জানি। তাই ওকে আমি পরামর্শ দিয়েছি, শুরুতে হাওয়ায় শট না মেরে ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে মারতে। এক বার হাত জমে গেলে বড় শট মারতে সুবিধা হবে। ওর শুধু একটা বড় ইনিংস চায়। তা হলেই আমরা পুরনো সূর্যকে দেখতে পাব।”
গত কয়েকটি ম্যাচে দেখা গিয়েছে, শুরুতে এক-দু’টি চার মারলেও তার পরেই আউট হয়ে গিয়েছেন সূর্য। যে শটে আগে চোখ বন্ধ করে ছক্কা মারতেন সেই ‘সুপলা’ শট খেলতে গিয়ে এখন বার বার আউট হচ্ছেন। সেই কারণেই হয়তো তাঁকে সময় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিলক।
ভারতের বিশ্বকাপের দলে এখন দুর্বলতম জায়গা সূর্য। সহ-অধিনায়ক শুভমন গিল ফর্মে না থাকায় তাঁকে বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হয়নি। কিন্তু সূর্য অধিনায়ক হওয়ায় হয়তো তাঁকে বিশ্বকাপের দু’মাস আগে সরাতে চাননি গৌতম গম্ভীরেরা। কিন্তু রান না পেলে কিন্তু সূর্যের উপর চাপ ক্রমশ বাড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রানে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি।