কালিয়াচকের ঘটনায় ধৃতদের ৬ দিন জেল হেফাজত

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৪ ১৮:০৬
Share:

মালদহের কালিয়াচকের আকন্দবেরিয়া গ্রামে স্কুলে হামলা এবং পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনায় ধৃত পাঁচ জনকে বুধবার আদলতে তোলা হয়। মালদহের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ রায় তাঁদের ৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে কোনও আবেদন করেনি পুলিশ।

Advertisement

ভর্তির ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কালিয়াচক থানার আকন্দবেরিয়া এসসি হাইস্কুল চত্বর। ফি বাড়ানো নিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময়ে তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে প্রধানশিক্ষকের। এর পরেই উত্তেজনা চড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে লাঠি এবং গুলি চালাতে হয়। পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় জখম হন ৬ পুলিশকর্মী-সহ প্রায় দশ জন। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েক জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি রয়েছেন।

ওই পাঁচ জনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ দিন আকন্দবেরিয়া এলাকার বিভিন্ন স্কুল বন্ধ ছিল। অন্য দিকে, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকন্দবেরিয়া এসসি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলার স্কুল পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করে এ দিন স্কুলের পরিচালন সমিতির তরফে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বিষয় নিয়ে এত গণ্ডগোল, সেই বর্ধিত ফি ছাত্রছাত্রীদের ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পরিচালন সমিতির সম্পাদক ক্ষুদিরাম মণ্ডল বলেন, “স্কুল ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ নেওয়া এবং বেঞ্চ তৈরির উদ্দেশে বর্ধিত যে ফি নেওয়া হয়েছিল, সেটা পুরোটাই ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

ওই দিন বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় গুলি চালানোর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, “তদন্ত চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement