খাদ্যশস্য পাঠাতে ব্যবহার করা যাবে বাংলাদেশের জলপথ

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৪ ১৭:২৪
Share:

ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পাঠাতে এই প্রথম ভারতকে তাদের জলপথ ব্যবহারের অনুমতি দিল বাংলাদেশ। সেখানকার আশুগঞ্জ বন্দরকে ব্যবহার করে ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পাঠানো অনেকটাই সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় খাদ্য নিগম-এর এক শীর্ষ আধিকারিক।

Advertisement

এতে কী সুবিধা হল?

ওই আধিকারিকের কথায়, “এত দিন পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথে প্রথমে অসমের লামডিঙে খাদ্যশস্য নিয়ে আসা হতো। তার পর সেখান থেকে ন্যারোগেজ রেলপথে ত্রিপুরায়। এতে মাল খালাস ও ভর্তি করার সমস্যা তো ছিলই, তার সঙ্গে অসমে মাঝে মঝেই ধস নামার ফলে রেললাইন বন্ধ হয়ে যেত। সব মিলিয়ে পুরো পরিবহণ পদ্ধতিতে একটা মন্থর ভাব প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াত।”

Advertisement

ত্রিপুরার পরিবহণমন্ত্রী মানিক দে জানান, বাংলাদেশের সড়ক ও জলপথ ব্যবহারের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কেন্দ্র এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও চালায়। অবশেষে বাংলাদেশ সরকার আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় পরিবহণের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন মানিকবাবু।

রাজ্যের মুখ্যসচিব এস কে পণ্ডা জানিয়েছেন, পাঁচ হাজার টন খাদ্যশস্য অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া বন্দর থেকে ইতিমধ্যে আশুগঞ্জ বন্দরে পৌঁছেছে। সেখান থেকে ট্রাকে করে মাল পাঠানো হবে ত্রিপুরায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাকগুলির যাতে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশে কোনও বাধা না থাকে তার জন্য বিদেশমন্ত্রকের কাছ থেকে আগেই ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আখাওরা চেকপোস্টে বসানো হয়েছে ‘ট্রাক স্ক্যানার’ও।

মানিকবাবু আরও জানান, আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করলে পণ্য পরিবহণের খরচ তো কমবেই, পাশাপাশি ১৬৫০ কিলোমিটার দূরত্বের বদলে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই ত্রিপুরায় পৌঁছে যাবে খাদ্যশস্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন