তলিয়ে যাওয়া তিন ছাত্র। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
স্নান করতে নেমে শনিবার গঙ্গায় তলিয়ে গেল তিন কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগর ঘাটে। পুলিশ জানিয়েছে, তলিয়ে যাওয়া তিন কিশোরের নাম আকাশ অগ্রবাল, আদিত্য পাঠক এবং মোহন ভত্রা। সকলেই শ্যামনগর ন্যাশনাল মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে শ্যামনগরেরই সবুজ সংঘের মাঠে স্কুলের প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে বলে ওই কিশোরেরা বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সেখানে না গিয়ে শ্যামনগর ফেরিঘাটের কাছে কালীবাড়ির মাঠে তারা খেলছিল। ঘণ্টা দেড়েক পর তারা শ্যামনগর ঘাটে স্নানের জন্য যায়। সেখানে একটি নৌকা বাঁধা ছিল। তার উপর ছয় বন্ধু ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্র জানায়, নৌকার উপর থেকে প্রথমে এক জন জলে ঝাঁপ দেয়। তাকে তলিয়ে যেতে দেখে পর পর আরও দুই বন্ধু নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু তিন জনই জলে তলিয়ে যায়। তিন বন্ধুকে চোখের সামনে তলিয়ে যেতে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাকি বন্ধুরা। সাহায্যের জন্য তারা চিত্কার করতে থাকে।
গত সপ্তাহে এই ঘাটের ঠিক উল্টো দিকে হুগলির তেলেনিপাড়া ঘাটে তিন জন তলিয়ে যায়। সেই ঘটনার জেরে এই ফেরিঘাটেও ব্যাপক ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। তার পর থেকে এই ঘাটে নৌকা পারাপার বন্ধ ছিল। কাজেই এ দিনের দুর্ঘটনার সময় আশেপাশে প্রায় কোনও লোকজনই ছিল না। চিত্কার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন ফেরিঘাটে। উদ্ধার কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ অন্য পুলিশকর্তারা। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ৬ জন ডুবুরি-সহ মোট ২০ জনের একটি দল জলে নেমে তলিয়ে যাওয়া কিশোরদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। যন্ত্রচালিত নৌকার সাহায্যও নেওয়া হয়। এ দিন সন্ধে পর্যন্ত হদিশ পাওয়া যায়নি তলিয়ে যাওয়া ওই তিন ছাত্রের।