বুধবার ভোরের আলো ফোটার আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দিঘলপাহাড়ির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেলপাহাড়ির নারায়ণপুর থেকে গাড়ি করে জামবনির ধড়সা যাচ্ছিলেন ঝাড়গ্রামের এসডিপিও বিবেক বর্মা। ভোর সাড়ে তিনটের সময় রাস্তার উপর একটি কালভার্টের কাছে সন্দেহভাজন কয়েক জনকে দেখে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। পরিস্থিতি আঁচ করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে না পারলেও গুলিতে দু’পক্ষের কেউই হতাহত হয়নি।
এর পর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে কালভার্টের নীচে থেকে উদ্ধার করে বেশ কিছু তাজা কার্তুজ-সহ একে-৪৭-এর দু’টি খালি কার্তুজ, একটি দেশি বন্দুক, দু’টি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল, একটি নাইন-এমএম পিস্তল, একটি আইইডি, দু’টি ডিটোনেটর ও কাপড়ের ব্যাগের ভিতর রাখা একটি ল্যান্ডমাইন। পুলিশের ধারণা রাতের অন্ধকারে ওই এলাকায় দুষ্কৃতীরা ল্যান্ডমাইন পোঁতার চেষ্টা করছিল। কিন্তু হঠাৎ এসডিপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছনয় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। অস্ত্রশস্ত্র ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’