গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর আপত্তি সত্ত্বেও মোবাইলে তাঁর ছবি তোলার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এর পর ওই ছাত্রীর করা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে মালদহ স্টেশন চত্বর থেকে তাদের গ্রেফতার করে জিআরপি। ধৃতদের সকলের বাড়ি মালদহের রতুয়া থানা এলাকায়। সোমবার তাদের জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জিআরপি সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির একটি টেকনোলজি কলেজে পড়েন মালদহের ইংরেজবাজার এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। রবিবার শিলিগুড়ি থেকে ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, ট্রেন কিষাণগঞ্জ স্টেশন ছাড়াতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় উত্যক্ত করতে শুরু করে সহযাত্রী তিন যুুবক। তাদের বাধা দিলে কটূক্তির মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। শেষে মোবাইলে ছবি তোলার চেষ্টা করে তারা। এর পর ট্রেনটি মালদহ পৌঁছলে জিআরপি-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতাপ মণ্ডল, দেবাশিস ঘোষ এবং বিমান মণ্ডল নামে ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়।
গত সপ্তাহেই হাওড়ার মৌড়ীগ্রাম স্টেশনে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শেষ ট্রেন না পেয়ে ওই দম্পতি স্টেশনেই ভোরের প্রথম ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন। সেই ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছে। রেলের তরফে বারংবার মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বলা হয়। এমনকী, গত সপ্তাহের রেল বাজেটে এ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। অথচ, মালদহের এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, মহিলা নিরাপত্তা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গিয়েছে।