দলীপ ট্রফিতে দক্ষিণাঞ্চলকে মাত্র নয় রানে হারিয়ে সাম্প্রতিক কালে ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম চমকপ্রদ জয় পেল মধ্যাঞ্চল। ৩০১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রবিবার ফাইনালের পঞ্চম তথা শেষ দিনে জয়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১৭ রান, হাতে তখনই নয় উইকেট। স্কোর ১৮৪-১। স্বভাবতই ট্রফির দাবিদার হিসাবে ফেভারিট ছিল বিনয় কুমারের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে খেলতে নামে এ দিন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তারা। ম্যাচের শুরু থেকে চালকের আসনে থাকলেও শেষ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের ভরাডুবি হল মূলত ব্যাটসম্যানদের শট সিলেকশনের ভুলে। এর ফলে মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক চাওলা এবং কোম্পানির কাছে তাদের শেষ ৭ উইকেট পড়ল মাত্র ৩৯ রানে।
মূলত স্পিন সহায়ক হলেও কোটলার উইকেটে পেসার-ব্যাটসম্যান— সুবিধা পেয়েছেন সকলেই। সে দিক থেকে দেখলে বিসিসিআই-এর অন্যতম কনিষ্ঠ কিউরেটর অঙ্কিত দত্তের কাজের প্রংশসা করতে হয়।
দিনের শুরুতেই দক্ষিণাঞ্চলের ঘরে ভাঙন ধরান দীর্ঘদেহী পেসার পঙ্কজ সিংহ। সকালের স্পেলে ৪৫ রানে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছেন শনিবারের শতরানকারী দক্ষিণের ওপেনার কে এল রাহুলও। এর পরে দীনেশ কার্তিকের মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকেও ফিরিয়ে দেন পঙ্কজ। এর পরেই স্পিনের ভেল্কি দেখাতে শুরু করেন মধ্যাঞ্চলের স্পিনত্রয়ী— পীযুষ চাওলা, আলি মুর্তাজা এবং জলজ সাক্সেনা। পর পর ৮টি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে তুলে নেন তাঁরা। দিনের শেষে চাওলা পান ৩-৮৩, মুর্তাজা ৩-৫৯ এবং জলজ ২-৪৪। গোটা ম্যাচের ১৩টি সেশনে দক্ষিণ ১০টিতেই আধিরত্য বিস্তার করলেও ৩টি সেশনেই ম্যাচ নিজেদের দখলে করে মধ্যাঞ্চল। একসময় দক্ষিণাঞ্চলের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২৫২। সেখান থেকে মাত্র ৮৮.৪ ওভারে ২৯১ রানেই মুড়ি্য়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। তবে ট্রফি হারালেও দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা হন দক্ষিণের ওপেনার কে এল রাহুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মধ্যাঞ্চল: ২৭৬ ও ৪০৩
দক্ষিণাঞ্চল: ৩৭৯ ও ২৯১ (৮৮.৪ ওভার)