ধোনিরা একই দিনে অনেকগুলো সমস্যা মিটিয়ে নিল

বিশ্বকাপের শুরুটা যা করল ভারত, তা এক কথায় অসাধারণ। ব্যাটিং যে ভাল হবে, সে প্রত্যাশা ছিলই। তবে শিখর ধবনের শুরুটা ভাল না হওয়া এবং বিরাট কোহলির রান না পাওয়া নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল, তা কেটে গেল প্রথম ম্যাচেই। ফলে ভারতের ব্যাটিং অ্যাডিলেড ওভালে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে।

Advertisement

দীপ দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:২৩
Share:

বিশ্বকাপে ভারতের পাক-বধ অব্যাহত। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্বকাপের শুরুটা যা করল ভারত, তা এক কথায় অসাধারণ।

Advertisement

ব্যাটিং যে ভাল হবে, সে প্রত্যাশা ছিলই। তবে শিখর ধবনের শুরুটা ভাল না হওয়া এবং বিরাট কোহলির রান না পাওয়া নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল, তা কেটে গেল প্রথম ম্যাচেই। ফলে ভারতের ব্যাটিং অ্যাডিলেড ওভালে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে।

আরও এক জনের কথা অবশ্যই বলতে হবে। সুরেশ রায়না। ভারতীয় মিডল অর্ডারের একমাত্র বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। সে-ও এই ম্যাচে রানে ফিরে এসেছে। এটা খুবই দরকার ছিল। পাকিস্তানের বোলারদের পক্ষে ভারতের এই ব্যাটিং সামলানো সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া এ রকম ফিল্ডিং নিয়েও এই ভারতকে হারানো যায় না। এ দিন পাকিস্তানের হারের কারণ অনেকটাই ফিল্ডিং। টুর্নামেন্টে এগোতে গেলে ওদের এই জায়গাটা শোধরাতে হবে।

Advertisement

ব্যাটিংয়ের চেয়ে ভারতের বোলিং নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ছিল। সেটা বিশ্বকাপের শুরুতেই কেটে যাওয়ায় ধোনিরা এ বার পরের ম্যাচগুলো অনেক চাপমুক্ত হয়ে খেলতে নামতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা মহম্মদ শামি ভাল বল করেছে। উমেশ যাদবও। আরও একটা পজিটিভ ব্যাপার হল স্পিনারদের ভাল বোলিং। ওদের এই ফর্মটা সারা টুর্নামেন্টে কাজে লাগবে। মনে রাখবেন ভারতের অলরাউন্ডাররা সবাই স্পিনার-অলরাউন্ডার। তাই ওদের ফর্মে থাকাটাও খুব দরকার।

পাকিস্তান প্রতিপক্ষ হিসেবে যে খুব একটা ভাল নয়, সেটাই এ দিন প্রমাণ করে দিল ভারত। ধোনিদের যদি দশে সাত-আট দেওয়া যায়, তা হলে পাকিস্তানকে দুইয়ের বেশি দেওয়া যাচ্ছে না। ব্যাটিংয়ে সে রকম কিছু নেই। ভয় পাওয়ানোর মতো তেমন বোলারও নেই। ফিল্ডিংয়ের কথা তো আগেই বলেছি। কতগুলো সিদ্ধান্তও খুব অদ্ভুত লেগেছে আমার। নাসির জামশেদের মতো ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রেখে ইউনিস খানকে দিয়ে কেন ওপেন করানো হল, এটা যেমন বোঝা গেল না, তেমনই সুরেশ রায়নার বিরুদ্ধে বল করার জন্য কেন লেগ স্পিনার লাগানো হল, তা-ও ধাঁধা থেকে গেল। তবু বলব পাকিস্তান নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলে এই টুর্নামেন্টে ধারালো হয়ে উঠতে পারে।

ভারতের সামনে এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা। নিঃসন্দেহে তার আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয়টা ধোনিদের দারুণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করবে। পারফরম্যান্স এ রকমই থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে ভারত। তবে অনেক বেশি ‘এফর্ট’ দিতে হবে আমাদের ক্রিকেটারদের। আমার মনে হয়, ওরা পারবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন