মালদহের পর এ বার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি। ফের প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে দশম শ্রেণির ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ছাত্রীর বাড়ি ধূপগুড়ির গোঁসাইহাট এলাকায়। ধূপগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। আগামিকাল জেলায় কালাদিবসও পালন করবে তারা।
মৃতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দিনই তাঁদের বাড়ির অদূরেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে টিভি দেখতে যেত সে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ছাত্রীটি। অনেক ক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকেরা প্রথমে অনুমান করেছিলেন ওই আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে সে। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়িতে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকেরা। আশপাশের এলাকায় ছাত্রীটির খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। রাতভর খুঁজেও তাঁর কোনও হদিশ মেলনি। পরে এ দিন সকালে গোঁসাইহাট থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে একটি শিম খেতে তার দেহ দেখতে পান এক স্থানীয় বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার দেহের একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তার ঠোঁটের কাছে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার জন্য পাশের গ্রামের মল্লিকপাড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। তাঁদের দাবি, গত তিন বছর ধরে ছাত্রীটির সঙ্গে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক ভেঙে দেয় ওই ছাত্রীটি। অভিযোগ, এর পর থেকেই দলবল নিয়ে ছাত্রীটির বাড়িতে হুমকি দিতে শুরু করে ওই যুবক। জেলার পুলিস সুপার কুণাল অগ্রবাল জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি রয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।