বিতর্কিত সেই নাচ। —ফাইল চিত্র।
উর্দি-টুপি পরে তাঁর সঙ্গে নেচে কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গ করেননি কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল শম্পা হালদার। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে। এ ভাবেই নাচ-বিতর্কে কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা শাহরুখ খান। এমন একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধায় কার্যত আশ্চর্য তিনি। তাঁর মতে, উর্দি নয়, এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ।
গত শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিশ আয়োজিত ‘জয় হে’ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী-সহ তাবড় পুলিশকর্তার সামনে মঞ্চে শাহরুখ খানের সঙ্গে নেচেছিলেন উর্দিধারী শম্পা। নাচের তালে শাহরুখের কোলে পা-ও তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তরুণীকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়েছিলেন খোদ নায়ক। ওই নাচকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জল অনেক দূর গড়ায়। পুলিশের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে, উর্দি পরে এমন ভাবে প্রকাশ্যে নাচ গান করা যায় কি না। উর্দির অপমানের পাশাপাশি বাহিনীর শৃঙ্খলা ভাঙার প্রসঙ্গও ওঠে।
সোমবার মুম্বইয়ে শাহরুখ বলেন, “এটা খুবই আশ্চর্যের! কয়েক বছর আগে ‘বীর জারা’ ছবির শ্যুটিং-এর সময় আমি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে নেচেছিলাম। বেশ মজাও করেছিলাম ওঁদের সঙ্গে। তাঁরা কিন্তু তখন উর্দি পরেই ছিলেন। আনন্দও পেয়েছিলেন ভীষণ।” এর পরে স্তম্ভিত শাহরুখ প্রশ্ন তোলেন, ষাট-সত্তরের দশকে বাহিনীর মনোবল বাড়াতে অভিনেতারা সীমান্ত লাগোয়া সেনাছাউনিতে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে নাচ-গান-অনুষ্ঠান করতেন। তখন তো এমন বিতর্ক হয়নি! তিনি বলেন, “মুম্বইতেও এমন অনুষ্ঠান আমি করেছি।” এর পরেই শাহরুখ মন্তব্য: “আমার মনে হয় বিতর্কটা উর্দির কারণে নয়। উর্দিধারী ওই কনস্টেবল মহিলা বলেই বিতর্ক।” আসলে নারী-পুরুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতেই এমনটা বলা হচ্ছে বলে তাঁর মত। তাই ‘ফালতু’ এই বিষয় নিয়ে তিনি আর কথা বাড়াতে চান না বলে জানিয়ে দেন শাহরুখ।