প্রাথমিকের টেট পূর্বনির্ধারিত ৩০ মার্চেই, রায় হাইকোর্টের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৪ ১৯:১৭
Share:

প্রাথমিকের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) হবে নির্ধারিত দিনেই অর্থাৎ রবিবার, ৩০ মার্চ। সোমবার রায় দিল হাইকোর্ট। প্রাথমিকের টেট নিয়ে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই পরীক্ষা নির্ধারিত দিনে না হওয়ার কোনও কারণ নেই।

Advertisement

যদিও যে প্রার্থীরা প্রাথমিক টেট দেবেন বলে এ বছর আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড, পরীক্ষাকেন্দ্র সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত জানায়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর, সোমবার হাইকোর্ট কী রায় দেয়, তা না দেখে ওই সব তথ্য জানানো হয়নি। এ বার প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র কোথায় হবে, অ্যাডমিট কার্ড কী ভাবে মিলবে ইত্যাদি বিষয় জানানো হবে।

এ বছর ৩১ মার্চের পরে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের স্কুল শিক্ষকতার জন্য নিয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। ২৯ মার্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) যে টেট হওয়ার কথা ছিল, তার মতোই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্ধারিত টেট-এর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। দু’ক্ষেত্রেই মামলাকারীদের বক্তব্য অনেকটা এক। ২৯ বা ৩০ মার্চ পরীক্ষা হলেও ৩১ মার্চের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে এনসিটিই-র নির্ধারিত সময়ের সীমা পেরিয়ে যাবে এবং তার পর আর প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী নিয়োগ সম্ভব নয়। তা-ই ওই পরীক্ষাগুলির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

২০১৩-র ৩১ মার্চ ৩৫ হাজার শূন্য পদের জন্য প্রাথমিকের টেট হয়। প্রায় ১৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী ওই পরীক্ষা দিলেও মাত্র ১৮ হাজার আসনে শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। গত বছর নভেম্বরে ওই টেট-এর ফল প্রকাশের সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, বাকি পদগুলির জন্য প্রার্থী বাছাই করতে চলতি আর্থিক বছরেই ফের একটি টেট হবে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়, আগের টেট-এ বসেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা চাইলে এ বার ফি ছাড়া ফের ওই পরীক্ষা দিতে পারেন। তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্র, রোল নম্বর এবং অ্যাডমিট কার্ড আগে যা ছিল, এ বারও তা-ই থাকবে। গত বারের প্রায় ১৪ লক্ষ প্রার্থী এ বছর টেট দেবেন বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর।

কিন্তু এ বছর যাঁরা টেট-এ বসার জন্য নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের ফি জমা নেওয়া হলেও অ্যাডমিট কার্ড কোথা থেকে পাবেন, পরীক্ষাকেন্দ্র কী হবে, সে সব জানানো হয়নি এখনও। পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগেও এই সব তথ্য জানতে না পারায় এই আবেদনকারীরা বেশ সংশয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এমন আবেদনকারীর সংখ্যা সাড়ে চার-পাঁচ লক্ষ। নতুন আবেদনকারীরা পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য কোথা থেকে জানতে পারবেন, তা মঙ্গলবার জানানো হবে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। প্রার্থীরা অনলাইন অ্যাডমিট কার্ড পাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পর্ষদ-কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন