রাহুল সিংহ
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি
এ দিন মাখড়া গ্রামের ঘটনা নন্দীগ্রামের স্মৃতি মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। নন্দীগ্রামে যেমন সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর নির্বিচার আক্রমণ করেছিল, মাখড়া গ্রামেও তেমনই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের সাহায্যে সাধারণ মানুষের উপর হামলা করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে পুলিশকে বার বার বলা হয়েছিল, তৃণমূলের আক্রমণ হতে পারে। তবু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
সিপিএম যে ভাবে গ্রাম দখল করত, আজ তৃণমূল সেই একই কায়দায় দখল অভিযানে নেমেছে। পতাকার রং আলাদা হয়েছে। কিন্তু পদ্ধতির পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান শাসককুল পাড়ুইয়ের নায়ককে প্রশ্রয় দিয়ে মাথায় তুলেছে। তাঁর নির্দেশে এবং নিয়ন্ত্রণেই বীরভূমের পুলিশ কাজ করে। অবিলম্বে বীরভূমের সেই নায়ককে গ্রেফতার করা দরকার। পুলিশ কেন ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি করছে না, তা আমরা স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে জানতে চাইব।
প্রদীপ ভট্টাচার্য
প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি
সুজন চক্রবর্তী
সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য
শাসক দলের মদতে ভাঙড় বা বীরভূমের গ্রামগুলি অস্ত্রাগারে পরিণত হয়েছে অনেক দিনই। তৃণমূল ও প্রশাসন কিছু না করায় সর্বত্রই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মাথা চাড়া দিয়েছে। আরাবুল-অনুব্রতদের মুখ্যমন্ত্রী সম্পদ হিসেবে মনে করতে পারেন, কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনও তাঁদের এ রকমই ভাবছে বলে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।