পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেদের ব্যর্থতার কথা মেনে নিল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দেশে এই মুহূর্তে চার কোটি পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট আছে। এতগুলি ওয়েবসাইট ‘ব্লক’ করা কেন্দ্রের পক্ষে অসম্ভব। একটি করে ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয় আর তার কিছু পরেই অন্য নামে ওয়েবসাইট চালু হয়ে যায়। ভারতে যে সমস্ত সংস্থা ইন্টারনেট সার্ভিস দেয় তাদের এই ওয়েবসাইটগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়াও সম্ভব না। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে সংস্থাগুলির সার্ভারগুলিকে ভারতে আনার। বিদেশে থাকা সার্ভারগুলির উপর যে ভারতের আইন প্রয়োগ করা সম্ভব নয় তা-ও জানায় কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইনকে আরও দ্রুত কাজ করতে হবে বলে জানায় আদালত। ওয়েবসাইটগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নেয় তা পরের শুনানিতে স্পষ্ট ভাবে জানাতে বলেন বিচারপতিরা।
দেশে বেড়ে চলা যৌন নিগ্রহ রুখতে পর্নো ওয়েবসাইটগুলি বন্ধ করার জন্য গত বছর সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ দায়ের হয়। আপিলে বলা হয় দিল্লি গণধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনার আগে অভিযুক্তরা মোবাইলে পর্নো দেখেছিল। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলি বিকৃত মানসিকতার সৃষ্টি করছে বলেও দাবি করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইন্টারনেট সার্ভিস সংস্থাগুলি সুপ্রিম কোর্টে জানায়, এই ধরনের সব ওয়েবসাইট বন্ধ করার পরিকাঠামো বা প্রযুক্তি তাদের হাতে নেই।