করাচি বিমানবন্দর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা। ছবি: এপি।
জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গি হানার ৩৬ ঘণ্টাও পেরোয়নি। ফের করাচিতে নতুন করে হামলা চালাল তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠী।
বিমানবন্দরের ৫০০ মিটারের মধ্যে বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনীর (এএসএফ)-র ক্যাম্প চত্বর। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানকার ২ নম্বর ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
গত রবিবার বিমানবন্দরের পুরনো টার্মিনালে হামলার ঘটনায় ২৯ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন জঙ্গিও ছিল। কাজেই শহর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে এ দিন ক্যাম্প চত্বরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। প্রথমে মহিলা হস্টেলের সামনে গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। পাল্টা গুলি চালানো হয়। দু’পক্ষের ভিতর গুলির লড়াই চলতে থাকে। প্রায় মিনিট ২০ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। গুলির আওয়াজ শোনামাত্রই বিমানবন্দরে সমস্ত উড়ানের ওঠা নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রেডিও পাকিস্তান জানায়, তিনি নতুন এই জঙ্গি আক্রমণ ঠেকাতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও পরে পাক-প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়, এটি কোনও বড় ধরনের হামলার ঘটনা নয়।
এএসএফ-এর মুখপাত্র কর্নেল তাহির আলি এই ঘটনার পর জানান, এ দিন দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে দুই জঙ্গি ক্যাম্প চত্বরে ঢুকে পড়ে। মহিলা হস্টেলের সামনে দাঁড়িয়ে তারা শূন্যে গুলি চালায়। গুলির আওয়াজ পেয়েই সতর্ক হয়ে যান এএসএফ কর্মীরা। পাল্টা আক্রমণ করা হয়। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী তলব করা হয়। তাহের বলেন, “পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়ে ওই দুই আক্রমণকারী ক্যাম্প চত্বরের পিছন দিকের জনবহুল এলাকা বিতাই আবাদের পালোয়ান গোঠ-এর দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।” তাদের সন্ধানে জোরদার তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এবং উড়ান পরিষেবাও ফের স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি ওই এএসএফ কর্তার।
এর পরই বিকেলের দিকে এক বিবৃতিতে তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীর মুখপাত্র শাহিদুল্লা শাহিদ জানান, এ দিনের হামলার দায় তাঁর গোষ্ঠীই নিচ্ছে। তাঁরা যে তাঁদের লক্ষ্যে সফল সে কথা জানিয়ে শাহিদের দাবি, সকালে পাক-আফগান সীমান্তের গ্রামে বোমারু বিমানের হামলায় ২৫ জন নিহত হন। সেই হত্যার বদলা নিতেই এই আক্রমণ।