আব্দুল রহমান কেসিগ। চলতি বছরের অক্টোবরে এএফপি-র তোলা ফাইল চিত্র।
ফের মুণ্ডচ্ছেদ করে হত্যার অভিযোগ উঠল ইসলামিক স্টেট-এর (আইএস)জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন মার্কিন সেনা ও বর্তমানে ত্রাণকর্মী আব্দুল রহমান কেসিগ-এর হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে সিরিয়ায় ত্রাণের কাজ করার সময়ে কেসিগ অপহৃত হন। যদিও মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
চলতি বছরের অক্টোবরে ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী অ্যালান হেনিংকে হত্যার সময়েই কেসিগকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরে কেসিগের বাবা-মা ইন্টারনেটেই তাঁর প্রাণ রক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অগ্রাহ্যই করল আইএস জঙ্গিরা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কেসিগের মৃতদেহের পাশে কয়েক জন আইএস জঙ্গি দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু মৃতদেহটি স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না।
কেসিগ মার্কিন সেনা বাহিনীর কর্মী ছিলেন। তিনি ইরাকের যুদ্ধেও অংশ নেন। সেনার কাজ ছেড়ে তিনি ত্রাণকর্মীর কাজে প্রশিক্ষণ নেন। জরুরি অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার কাজে তাঁর দক্ষতা ছিল। প্রথমে লেবাননে পরে সিরিয়ায় ত্রাণকাজে অংশ নেন। নিজের সংস্থাও তৈরি করেন। প্রায় এক বছর আগে সিরিয়ার সীমান্তে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এর পরে তাঁর কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। অ্যালেন হিলিংয়ের হত্যার সময়েই কেসিগের কথা প্রকাশ্য আসে। এর পরেই কেসিগের প্রাণ রক্ষার ভিডিও প্রকাশ করেন তাঁর বাবা-মা। বন্দিদশায় কেসিগ নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করছে মার্কিন সেন্ট্রাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন প্রশাসন।