বোনেদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম হলেন দাদা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবপুর থানার ভগবানপুর গ্রামে। ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নবম ও অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্তক্ত করত ওই গ্রামেরই বাসিন্দা গোবিন্দ মণ্ডল ও মিঠুন মণ্ডল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই দুই বোন তাঁদের বাড়ির কাছেই মনসা গান শুনতে গিয়েছিল। ফেরার পথে তাদের পিছু নেয় গোবিন্দ ও মিঠুন। মেয়েদুটির অভিযোগ তাদের রাস্তা আটকে হাত ধরে টানাটানি শুরু করে ওই দু’জন। কুপ্রস্তাবও দেয় তারা। এই প্রস্তাব না মানায় তাদের পোশাক টেনে ছিঁড়ে দেয়। এর পর বোনেদের চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। রাতে বাড়ি ফিরে বোনেদের কাছে সব শুনে গোবিন্দ ও মিঠুনের খোঁজে বেরিয়ে যান তাদের দাদা নয়ন মণ্ডল। ভগবানপুর বাঁধের কাছে তাদের দেখা পান তিনি। বোনেদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় নিলয়বাবুকে মাটিতে ফেলে পেটাতে শুরু করে ওই দু’জন। বার বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করা হয় তাঁকে। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী কালিয়াচক হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নিলয়বাবুর পরিবার সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শনিবার দুপুরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।