কালবৈশাখীর কবলে পড়ে সোমবার বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোণাতেই মারা গিয়েছেন ছয় জন। এ দিন ভোরে কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায়। এই দুর্যোগের ফলে কয়েকটি জেলায় সাধারণ জনজীবন ব্যহত হয় বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
নেত্রকোণায় ঘণ্টাখানেকের ওই ঝড়ের দাপটে টিনের চাল ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন তিন সন্তান-সহ এক মহিলা। এই জেলাতেই বাড়ি চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও তিন জন। বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়ে বহু বাড়ি। উপড়ে যায় প্রচুর গাছপালাও। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুত্ পরিষেবা। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুনামগঞ্জেও। দুর্যোগের কবলে পড়ে এখানে চার জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গোয়ালন্দতে পদ্মায় মাছ ধরার সময় বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন এক মত্স্যজীবী।
ঝড়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় একটি ইন্টারসিটি ট্রেন। দিনাজপুরে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুতে এ দিন ভোরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রেনটি। সেতুর উপরেই ট্রেনটির ১৩টি কামরার ৯টি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আর একটু হলেই ট্রেনটি নদীতে পড়ে যেত! এই ঘটনার পর ওই লাইনে বন্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা।