চলছে উদ্ধারকাজ। নিজস্ব চিত্র।
বড়দিনের আগের রাতে শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিন বাইকআরোহী-সহ চার জনের। বড়দিনের রাতেও দুর্ঘটনা এড়াতে পারল না শহর কলকাতা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেষ্টপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গেল একটি বাইক। দু’জন আরোহীকে কিছু পরে খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে তিন বার ডুবুরি নামানো হলেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত খোঁজ নেই তৃতীয় জনের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ ভিআইপি রোড ধরে আসছিল একটি মোটরবাইক। বাইক চালাচ্ছিল সঞ্জয় বিশ্বাস। পিছনে বসেছিল শিবশঙ্কর দাস এবং গোপাল মিস্ত্রি। এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি রাজারহাটের চণ্ডীবেড়িয়া এলাকায়। বাইকের তিন আরোহীই মত্ত অবস্থায় ছিল জানিয়েছে পুলিশ। প্রচণ্ড গতিতে থাকা বাইকটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে কেষ্টপুর খালের পাশের ডিভাইডারে। ছিটকে খালে গিয়ে পড়ে ওই তিন যুবক। রাস্তায় পড়ে থাকে মোটরবাইকটি। কিছুক্ষণ পরেই এসে পড়ে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। উদ্ধার করা হয় সঞ্জয় এবং গোপালকে। শিবশঙ্করের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু তিন বার ডুবুরি নামিয়েও কেন খোঁজ মিলল না শিবশঙ্করের?
এ ক্ষেত্রে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা আঙুল তুলেছেন বাগজোলা খালের শোচনীয় অবস্থার দিকে। অপরিষ্কার এবং আবর্জনা ভর্তি খালে নেমে কাজই করতে পারছেন না তাঁরা। বাগজোলা খাল পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব সেচ দফতরের। তাদের অবশ্য দাবি ‘নিয়মিত’ পরিষ্কার করা হয় খাল। বর্ষার সময়েও দু’বার তা পরিষ্কার করা হয়েছে জানিয়েছেন সেচ দফতরের এক কর্তা। খাল পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব স্থানীয় পুরসভার উপরও চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের বার বার বলা হলেও তাঁরা খাল নোংরা করেন।