মাখড়া নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

পাড়ুইয়ের মাখড়া গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবং ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে শুক্রবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন বিরাটির বাসিন্দা জনৈক বিপ্লবকুমার চৌধুরী। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ২১:৫৮
Share:

পাড়ুইয়ের মাখড়া গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবং ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে শুক্রবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।

Advertisement

মামলাটি করেছেন বিরাটির বাসিন্দা জনৈক বিপ্লবকুমার চৌধুরী। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। হাইকোর্টের বিচারপতি নিশীথা মাত্রের নির্দেশে সিআইডি ইতিমধ্যেই সেই মামলার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ অক্টোবর পাড়ুইয়ের মাখড়া গ্রামে রাজনৈতিক দুই দলের সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় তৃণমূলের দুই কর্মী এবং বিজেপি-র এক জন নিহত হন। ওই সংঘর্ষের জন্য তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দায়ী করে বিজেপি।

Advertisement

বিপ্লববাবু এ দিন যে মামলা দায়ের করেছেন, সেখানে তার আবেদনে বলা হয়েছে, মাখড়ার সংঘর্ষের পরে গত ৩০ অক্টোবর তিনি পাড়ুই থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে বলা হয়, ওই থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। সংঘর্ষে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হোক। তিনি জানান, সংঘর্ষে তৌসিফ শেখ নামে বিজেপি-র এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই দলের নেতা দুধকুমার মণ্ডল। বিজেপি নেতার অভিযোগ, তৌসিফ খুনে জড়িত রয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বিপ্লববাবু জানান, দুধকুমারের অভিযোগ সত্যি হলে সঠিক এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হোক। বিপ্লবাবুর দাবি, তার পরে বেশ কয়েক দিন কেটে গিয়েছে। পুলিশ হয় সংঘর্ষের সঠিক তদন্ত করেনি, নয়তো তাঁকে জানানো হয়নি কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

সেই কারণেই বিরাটির ওই বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলার আবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাড়ুই থানা এলাকার কয়েকটি জায়গা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। সেই অবস্থায় কী করে তিন জন খুন হলেন, পুলিশ সংঘর্ষ এড়াতে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, মামলার আবেদনে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বীরভূম জেলার আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে আবেদনে। বলা হয়েছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় যে রাজনৈতিক দলের কর্মীই অভিযুক্ত হন না কেন, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন