মোটামুটি শান্তিপূর্ণ রাজ্যের দ্বিতীয় দফা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ১০:৩৮
Share:

রায়গঞ্জে একটি বুথে মহিলাদের দীর্ঘ লাইন। ছবি: তরুণ দেবনাথ।

রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোটে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলার চারটি কেন্দ্র এবং মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রে মোটামুটি নির্বিঘ্নেই মিটল ভোটপর্ব। তবে ইভিএম বিভ্রাটে ভোট দিতে পারেননি মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের দুই কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম নুর ও আবু হাসেম খান চৌধুরী। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ মালদহে মোট ৮০ শতাংশ, বালুরঘাটে ৮৬ শতাংশ ও রায়গঞ্জে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৮৩ শতাংশ ও জঙ্গিপুরে ৮২.৫০ শতাংশ।

Advertisement

রায়গঞ্জে এ বারের লড়াই ছিল চতুর্মুখী। এই কেন্দ্রের দু’টি বুথে ইভিএম খারাপ থাকায় দেরিতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। তবে এলাকার অনুন্নয়নের অভিযোগে গৌরীর তিন বুথে ভোট বয়কট করেন স্থানীয় মানুষ। ওই কেন্দ্রের অনন্তপুর, বালিচর ও দুপদুয়ারে ভোটকর্মীরা পৌঁছলেও দুপুর পর্যন্ত একটিও ভোট পড়েনি। ওই কেন্দ্রের ভিটিহারেও একই দাবিতে আংশিক ভাবে ভোট বয়কট করেন স্থানীয় মানুষ।

বালুরঘাটের তপন ও গঙ্গারামপুরেও ইভিএম খারাপ থাকায় দেরিতে শুরু হয় ভোট। গঙ্গারামপুরের ১৭ নম্বর বুথে কংগ্রেসের এক এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। পরে সেই এজেন্টকে পুলিশি নিরাপত্তায় বুথে ফেরত পাঠায় তারা। এই কেন্দ্রের ইটাহার ব্লকে একটি ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করে বিজেপি। সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল ওই বুথের ভোটগ্রহণ।

Advertisement

মালদহের দুই কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত কিছু গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গিয়েছে। কালিয়াচকের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় বুথ দখলকে কেন্দ্র করে এ দিন কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, এলাকায় ৫-৬টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে ঘটনায় কেউ আহত হননি। এ দিন বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ইভিএম খারাপ থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এর জেরেই ভোট দিতে না পেরে ফিরে যান কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মৌসম নুর ও আবু হাসেম খান চৌধুরী। ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে কংগ্রেস।

জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে দুপুর পর্যন্ত কিছু বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়। এ দিন দুপুরের দিকে ডোমকলের গড়াইমাড়ির মাদ্রাসাপাড়ার কাছে ২৫২ নম্বর বুথের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সিপিএম কর্মীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁদের এক কর্মীও জখম হয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। অন্য দিকে, চুঁয়ার একটি বুথে ইভিএম খারাপ থাকায় বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে ভোটগ্রহণ। ভোটযন্ত্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই বুথে কমিশন নতুন ইভিএমের ব্যবস্থা করলেও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকে কংগ্রেস। ভগবানগোলার কুতুবনগরের ১৩৮ ও ১৩৯ নম্বর বুথে অনুন্নয়নের অভিযোগে ভোট বয়কট করেন স্থানীয় মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন