মেদিনীপুরে বিরোধীদের একাধিক কার্যালয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

এক রাতে বিরোধী দলের বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসে হামলা চলল। সিপিএম, সিপিআই, ডিওয়াইএফআই, বিজেপি— সব ক’টি সংগঠনের একাধিক কার্যালয়ে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবার রাতে মেদিনীপুর শহরের এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠল শাসক দলের দিকেই। তৃণমূলের তরফে যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ১২:২৩
Share:

আগুনে পুড়ে গিয়েছে কোতবাজারে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

এক রাতে বিরোধী দলের বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসে হামলা চলল। সিপিএম, সিপিআই, ডিওয়াইএফআই, বিজেপি— সব ক’টি সংগঠনের একাধিক কার্যালয়ে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবার রাতে মেদিনীপুর শহরের এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠল শাসক দলের দিকেই। তৃণমূলের তরফে যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement

শহরের রবীন্দ্রনগরে সিপিআই-এর জেলা কার্যালয়। ওই রাতে সেই অফিসের লোহার গ্রিল বাঁকিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু পোস্টার খুলে সেগুলিকে পুড়িয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা বলেন, “তৃণমূল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তুমুল নিন্দা করছি।”

সিপিএমের লোকাল কমিটি অফিস রয়েছে শহরের পোস্ট অফিস রোডে। সেখানেও ওই রাতে পোস্টার এবং পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই রকম ভাবে কর্নেলগোলায় দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের অফিসেও হামলা চালানো হয়। সেখানেও পোস্টার ছেঁড়ার মতো ঘটনা ঘটে। সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক সারদা চক্রবর্তী বলেন, “একসঙ্গে এতগুলি পার্টি অফিসে এর আগে কখনও এমন ভাবে হামলা চলেনি। তৃণমূলের লোকজনই এই কাজ ঘটিয়েছে।” অন্য দিকে, সুভাষনগরে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়েও পোস্টার-ফেস্টুন-পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি-র শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “আমাদের উত্থান যে শাসকদলকে ভাবাচ্ছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ।” তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। তিনি বলেন, “এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। যদি কেউ করেও থাকে তবে তার সঙ্গে দলের কোনও রকম সম্পর্ক নেই।” এ দিন বিকেলে বামফ্রন্টের একটি প্রতিবাদ মিছিল বেরোয় শহরে।

Advertisement

জেলা সিপিআই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন