লাগাতার হাতির হামলায় গ্রামছাড়া ওড়িশার বারিপদা

কোনও চোর, ডাকাত বা জঙ্গির দাপট নয়, দাঁতালের দাপটে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা! গত কয়েক দিনে এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায়। এক দল দাঁতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। তাদের আক্রমণে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী। তাই আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন গ্রামবাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে ভিটে-মাটি ছেড়ে এখন তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়চ্ছেন। রাস্তাঘাট প্রায় শুনসান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৪ ১৭:৪২
Share:

কোনও চোর, ডাকাত বা জঙ্গির দাপট নয়, দাঁতালের দাপটে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা! গত কয়েক দিনে এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায়। এক দল দাঁতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। তাদের আক্রমণে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী। তাই আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন গ্রামবাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে ভিটে-মাটি ছেড়ে এখন তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়চ্ছেন। রাস্তাঘাট প্রায় শুনসান।

Advertisement

বারিপদার ডিএফও জানিয়েছেন, তিনটি দাঁতাল ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে ময়ূরভঞ্জে ঢুকে পড়েছে। তাদের হামলায় গত কয়েক দিনে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ন’জন। সোমবার রাতে পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন রাধি দেহুরি (৪৫)। সেই সময় দাঁতালের দলটি তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ভয় পেয়ে পালাতে গেলে দাঁতালটি রাধিদেবীকে পায়ের তলায় পিষে মারে। পরিবারের অন্য সদস্যেরা কোনওমতে নিজেদের প্রাণ বাঁচান। আহত হয় একটি শিশুও। গত তিন দিনে জেলায় এই নিয়ে হাতির হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার।

বওরা গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ধনাই মারান্ডি (৭০)। হঠাত্ই দাঁতালের দল তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার ওই দলটি প্রাতর্ভ্রমণকারীদের উপর হামলা চালায়। ওই দিনের হামলায় মৃত্যু হয় আরও এক ব্যক্তির।

Advertisement

হাতির হামলায় মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এলাকা থেকে হাতি খেদানোর দাবি তুলে তাঁরা এ দিন বারিপদা-বস্তা রোড অবরোধ করেন। বন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সে আশ্বাস দেওয়ায় বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন