লুঠপাটের পর সন্দেশখালির কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ২০:০৪
Share:

রিভালবার দেখিয়ে এক ব্যবসায়ী দম্পতিকে মারধর করে বেঁধে রেখে লুঠপাটের পরে তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এবং গ্রামবাসীরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্হানীয় খুলনা সপাতালে ভর্তি করে বলে জানা গেছে।

Advertisement

পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীর দাবি, দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করে বেঁধে রেখে ২০ হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল ফোন, ৫ ভরি সোনা-রুপোর গয়না এবং একটি শ্যালো মেশিন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আরও ৫০ হাজার টাকার দাবিতে তাঁদের একমাত্র মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। সন্দেশখালি থানার ওসি সুরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘কিশোরীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে স্থানীয় দুষ্কৃতী ওসমান মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসমানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতি এবং চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চলছে। তবে ওসমান ধরা পড়ায় গোটা দলটাকে শনাক্ত করা গিয়েছে। শীঘ্রই বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।’’

ধৃত দুষ্কৃতী ও তার পরিবার বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারের দাবি, ওই ডাকাতি এবং গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা তৃণমূল আশ্রিত। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তবে সিপিএমের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন সন্দেশখালি ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষণ অধিকারী। তাঁর পাল্টা দাবি, ধৃত ওসমান সিপিএমের সদস্য। এ দিন তিনি বলেন ‘‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই দলে আসছে। তবে দল কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরে আমিই প্রথম থানায় গিয়ে ওসিকে বলি যে কোনও মূল্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করে চরম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এর পর পুলিশ ওসমানকে গ্রেফতার করে। সিপিএম নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement