শিলিগুড়িতে এক পরিবারের ৪ জনের অপমৃত্যু

বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার হল একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ। শনিবার সকালে শিলিগুড়ি শহরের নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি এলাকার নবগ্রামের ঘটনা। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে ফরেন্সিক বিষেশজ্ঞদেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৪:৪৯
Share:

বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার হল একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ। শনিবার সকালে শিলিগুড়ি শহরের নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি এলাকার নবগ্রামের ঘটনা। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও।

Advertisement

কী হয়েছিল এ দিন?

সকাল থেকেই দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল বাড়িটা থেকে। প্রতিবেশীরা প্রথমে অস্বস্তিতে পড়লেও পরে তাঁদেরই কেউ কেউ খেয়াল করেন, গত দিন তিনেক ধরে ওই পরিবারের কোনও সদস্যকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। সন্দেহ হওয়ায় তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ছাদ থেকে ঝুলছে সুপ্রভাত সাহার (৪০) দেহ। মেঝেতে ইতস্তত পড়ে রয়েছে তাঁর বৃদ্ধা মা গীতা সাহা (৬০), স্ত্রী মিঠু ( ৩২) এবং সাত বছরের মেয়ে মানসীর দেহ। দেহগুলি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে বাজারে প্রচুর টাকা ধারদেনা হয়ে যায় সুপ্রভাতবাবুর। তাঁদের অনেকের মতে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, হয়তো আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। পুলিশ যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল?

শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পরিবারের বাকি সদস্যদের মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে খুন করার পর, সুপ্রভাতবাবু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে, বিষয়টি নিশ্চিত করতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও ডাকা হয়েছে বলে কমিশনারেট সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement