গোয়া ম্যাচে ঝামেলার জেরে শাস্তির কোপে পড়লেন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস, গোলকিপার-কোচ প্রদীপকুমার ভক্তাওয়ার-সহ দুই ফুটবলার ফিকরু তেফেরা এবং রবার্ট পিরেস। শনিবার নয়াদিল্লিতে শাস্তির ঘোষণা করে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। এ দিন এক বিবৃতিতে এআইএফএফ জানিয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এবং ফেয়ার প্লে-র পরিবেশ নষ্ট করার দায়ে অ্যাটলেটিকো দে কলকাতার প্রধান কোচ হাবাসকে ৪ এবং ফুটবলার ফিকরুকে ২ ম্যাচ সাসপেন্ড করা হয়েছে। একই অপরাধে শাস্তি এড়াতে পারেননি এফ সি গোয়ার বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফুটবলার রবার্ট পিরেসও। ফিকরুর মতো তাঁকেও ২ ম্যাচ সাসপেন্ড করেছে এআইএফএফ। সাসপেনশন ছাড়াও তিন জনকেই পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে ফেডারেশন। অ্যাটলেটিকোর গোলকিপার-কোচ প্রদীপকুমারকে ১ ম্যাচের সাসপেনশন ছাড়াও ৩০ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হবে। এই শাস্তির বিরুদ্ধে ফেডারেশনের কাছে আবেদন করা যাবে। তবে তা করতে হবে আগামী চার দিনের মধ্যেই।
২৩ অক্টোবর মাড়গাঁওতে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন অ্যাটলেটিকো কোচ-ফুটবলার। ম্যাচ শেষে গোয়ার কোচ জিকোর অভিযোগ, হাফ টাইমে ০-১ পিছিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে তাদের মার্কি ফুটবলার পিরেসের মুখে ঘুষি মারেন হাবাস। শুধু তা-ই নয়, দ্বিতীয়ার্ধ্বের খেলা চলাকালীন ফিকরু ‘হেডবাট’ করেন গোয়ার গ্রেগরি আর্নোলিনকে। দু’জনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ম্যাচ কমিশনারের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ করে অ্যাটলেটিকোর কর্মকর্তা এবং ফুটবলারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেন গোয়ার টিম ম্যানেজার জোনাথন ডি’সুজা। এআইএফএফ-এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এ দিনের সিদ্ধান্তে সেই অভিযোগকেই সমর্থন জানাল। গত ১৮ অক্টোবরও অ্যাটলেটিকো কোচ হাবাসকে শৃঙ্খলাজনিত কারণে সতর্ক করেছিল এআইএফএফ।
এ দিন ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ৫৮ নম্বর ধারাবলে একই অপরাধে ফুটবলারদের থেকে টিমের কর্মকর্তাদের দ্বিগুণ শাস্তির বিধান আছে। এই কারণেই শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে হাবাসের ৪ ম্যাচ সাসপেনশনের শাস্তি হয়েছে।
অ্যাটলেটিকোর অন্যতম মালিক উত্সব পারেখ জানিয়েছেন, এই শাস্তির বিরুদ্ধে ফেডারেশনের কাছে আবেদন করা হবে। একই কথা জানিয়েছেন গোয়ার কর্মকর্তারাও।