সিপিআই-এর সঙ্গে সংঘর্ষে খড়্গপুরে নিহত তৃণমূল কর্মী

দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। নিহতের নাম প্রবোধ পাত্র। বুধবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার বুঁদড়া গ্রামের ওই ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজে একটি পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে আগে থেকেই সিপিআই ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সিপিআই-এর অভিযোগ, শাসকদল ওই কাজে দুর্নীতি করছে। বেশ কয়েক বার প্রতিবাদ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ১১:৫৮
Share:

দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। নিহতের নাম প্রবোধ পাত্র। বুধবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার বুঁদড়া গ্রামের ওই ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজে একটি পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে আগে থেকেই সিপিআই ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সিপিআই-এর অভিযোগ, শাসকদল ওই কাজে দুর্নীতি করছে। বেশ কয়েক বার প্রতিবাদ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

এরই মধ্যে বুধবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরূপ কারক মোটর সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, প্রকাশ চাওলা, প্রসাদ চাওলা, বিকাশ চাওলা-সহ বেশ কয়েক জন সিপিআই কর্মী তাঁর পথ আটকায়। অরূপবাবুর সঙ্গে প্রথমে তাঁদের বচসা শুরু হয়। শেষে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে বাড়ি ফিরে গিয়ে সব কথা তাঁর দাদা নিতাই কারককে বলেন অরূপবাবু।

Advertisement

নিতাইবাবু ওই গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। ভাইয়ের কাছে সব শুনে তিনি গ্রামবাসীদের একাংশকে নিয়ে প্রসাদবাবুদের বাড়ি চড়াও হন। প্রসাদবাবুরা তিন ভাই। তাঁদের বাবা মাধাই চাওলাও সিপিআই সমর্থক। গ্রামবাসীদের ওই দলে তৃণমূল কর্মী প্রবোধ পাত্রও ছিলেন। দলীয় সমর্থকের বাড়ি হামলা হয়েছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বেশ কিছু সিপিআই কর্মী-সমর্থক হাজির হন। এর পরেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা একে অপরকে লাঠি, টাঙ্গি, লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। হঠাৎই প্রবোধবাবুর গলায় টাঙ্গির কোপ মারা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “ওরা আবার মানুষ খুনের রাজনীতিতে নেমে পড়েছে। তার বলি হতে হল আমাদের এক কর্মীকে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সিপিআই-এর জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা বলেন, “ওই গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। বেশ কিছু জায়গায় আমাদের কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন