শাসক স্মিথ। দর্শক ধোনি। ছবি: এফপি।
কী খেয়ে মাঠে নামছেন স্টিভ স্মিথ? উত্তর অজানা। হয় তিনি অভুক্ত অবস্থায় মাঠে নামছেন ভারতীয় বোলিংকে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য। নয়ত মন্ত্রসিদ্ধ ‘আদা-জল’ খেয়ে নামছেন। না হলে প্রতি ইনিংসে এমন ব্যাটিং করেন কী করে তিনি? অজি অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যেন সেঞ্চুরি করাটাকে মামুলি ব্যাপার করে ফেলেছেন তিনি। শনিবার ভারতের বিরুদ্ধে করলেন ১৯২। আর স্মিথ চালিত অস্ট্রেলিয়া এক্সপ্রেস থামল ৫৩০-এ।
শুক্রবার মহম্মদ শামি দাবি করেছিলেন, দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের মধ্যেই শেষ করে দেবেন অজি ব্যাটিংকে। শনিবার সকালে তাড়াতাড়ি বাকি পাঁচ উইকেট নেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি বোধহয় স্মিথের নামটা অপরাজিতের তালিকায় দেখতে ভুলে গিয়েছিলন। প্রথম দিনের সঙ্গে ১২০ রান যোগ করলেন অজি অধিনায়ক। কিন্তু একা কি স্মিথ? এ দিনও ভারতকে সামলাতে হল অস্ট্রেলীয় লেজের ঝাপটা। কার্যত এই ‘লেজ’-এর দাপটেই দ্বিতীয় টেস্টে হারতে হয়েছিল ভারতকে। এ দিনও দেখা গেল প্রায় একই ছবি। আট নম্বরে নামা জনসন করলেন ২৮। ন’নম্বরে নামা রায়ান হ্যারিস তো আবার টেস্টে তাঁর সেরা স্কোর করে গেলেন। আটটি বাউন্ডারি, একটি ওভার বাউন্ডারি এবং উমেশ-ইশান্তদের ‘ভালবাসায়’ ভর করে করলেন ৭৪। অধিনায়কের সঙ্গে জুটিতে করলেন ২৪ ওভারে ১০৬। চার ভারতীয় বোলারই একশোর উপর রান দিলেন।
আবার ফেরা যাক স্মিথ-কাহিনীতে। চলতি সিরিজে সবক’টি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন তিনি। শেষ বার পর পর তিন টেস্টে শতরান করেছিলেন ম্যাথু হেডেন। সেটাও ছিল ভারতেরই বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত সিরিজে ৫৬৭ করে ফেলেছেন অজি অধিনায়ক। গড় ১৮৯। শুধুমাত্র এই সিরিজেই নিজের টেস্ট গড় প্রায় ১১ রান বাড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসাবে তিনিই প্রথম পর পর দু’ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। আর আট রান করলে ভেঙে যেত কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হিসাবে ব্র্যাডম্যানের করা রেকর্ডও। তবে সেই রেকর্ড ভাঙার জন্য ইশান্তদের আরও বার দু’য়েক পাবেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিশাল স্কোর ঘাড়ে নিয়ে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালই করেছে ভারত। শিখর ধবন আউট হলেও অপরাজিত বিজয়, পূজারা। ভারত ১০৮/১।
বিজয়-পূজারারা রবিবার কী করেন সে দিকে বোধহয় খুব আগ্রহ থাকবে না ভারতীয় বোলারদের। তাঁরা আপাতত ব্যাস্ত থাকবেন একটাই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে— কী খেয়ে মাঠে নামছেন স্টিভ স্মিথ?