হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহরলাল খাট্টার

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহরলাল খাট্টার। প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রবিবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ পঞ্চকুলার হুডা ময়দানে শপথ নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে শপথ নেন ন’জন মন্ত্রী। এঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কি। খাট্টারের মন্তিসভার ছয় সদস্যের মধ্যে রয়েছেন কবিতা জৈন, রামবিলাস শর্মা, অভিমন্যু, ওম প্রকাশ ধাঙ্কার, অনিল বিজ এবং নরবীর সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৩:২৬
Share:

মনোহরলাল খাট্টারকে (বাঁ দিকে) শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন হরিয়ানার রাজ্যপাল কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কি। ছবি: পিটিআই।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহরলাল খাট্টার। প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রবিবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ পঞ্চকুলার হুডা ময়দানে শপথ নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে শপথ নেন ন’জন মন্ত্রী। এঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কি। খাট্টারের মন্তিসভার ছয় সদস্যের মধ্যে রয়েছেন কবিতা জৈন, রামবিলাস শর্মা, অভিমন্যু, ওম প্রকাশ ধাঙ্কার, অনিল বিজ এবং নরবীর সিংহ।

Advertisement

এ দিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিংহ, অমিত শাহ-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে এ দিন হাজির ছিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল-ও।

এই প্রথম কোনও অ-জাঠ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হলেন। ২০১৪-র বিধানসভা নির্বাচনে কার্নাল থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন খাট্টার। ৬৩, ৭৩৬ ভোটে ওই কেন্দ্র থেকে তিনি জিতেছেন।

Advertisement

রোহতকের বাসিন্দা মনোহরলাল খাট্টারের রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৭৭-এ সঙ্ঘ প্রচারক হিসাবে কাজের মাধ্যমে। দীর্ঘ ১৪ বছর এই কাজে যুক্ত থাকার পর ১৯৯৪-এ বিজেপি-তে যোগ দেন। ২০০০-২০১৪ পর্যন্ত হরিয়ানার রাজ্য বিজেপি-র সাংগঠনিক সাধারণ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ‘একলা চলো’ নীতিতে ভর করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। দীর্ঘ দশ বছরের কংগ্রেস জমানা এক লহমায় উড়ে যায় ‘গেরুয়া ঝড়’-এ। রাজ্যের ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৭টি-ই যায় বিজেপির ঝুলিতে। কংগ্রেসের ‘ভরাডুবি’ আর বিজেপির উত্থানে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসাবে উঠে আসে খাট্টারের নাম।

হরিয়ানার রাজনীতি ছিল জাঠ কেন্দ্রীভূত। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদেও বহাল ছিলেন জাঠ সম্প্রদায়ের লোক। এই প্রথম রাজ্যের ‘পরম্পরা’য় ছেদ পড়ল। রাজ্যপাট সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হল অ-জাঠ মনোহরলাল খাট্টারকে। রাজ্যে বিজেপি-র ঐতিহাসিক জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নাম উঠে আসে খাট্টার এবং অভিমন্যু-র। শুরু হয় জাঠ বনাম অ-জাঠ-এর ‘লড়াই’। জাঠ সম্প্রদায়ের বিজেপি নেতা অভিমন্যুকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি ওঠে রাজ্যের দলীয় স্তর থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অ-জাঠ খাট্টারকেই মান্যতা দেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন