দাল্লি আব্বাস শহরকে দখল মুক্ত করতে এগিয়ে চলেছে ইরাকি সেনা। ছবি: রয়টার্স।
নিরাপদেই আছেন ৪৬ জন ভারতীয় নার্স। তাঁদের ইরাকের যুদ্ধবিধস্ত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, কেরলের বাসিন্দা ৪৬ জন নার্সকে বৃহস্পতিবার আইএসআইএল জঙ্গিরা তিকরিত-এর হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তার পরে তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। এ বার খবর মিলেছে শুক্রবার তাঁরা উত্তর ইরাকের কুর্দদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইরবিলে যাচ্ছেন। ইরবিল অঞ্চলটি আপাতত শান্ত। বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারেরা সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেখান থেকে বিমানে তাঁরা দেশে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিকে এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ভারতীয়দের ফেরাতে একটি বোয়িং-৭৭৭ বিমান ইরাকে পাঠানো হচ্ছে। এ খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিকরিত থেকে ৪৬ জন নার্সের নিরাপদ জায়গায় পৌছানোর খবর পেয়ে আমি খুশি ও স্বস্তি বোধ করছি। আশা করি তাঁরা নিরাপদে ভারতে পৌঁছতে পারবেন।’’ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডি জানান, শনিবারের মধ্যে নার্সরা কেরলে পৌঁছে যাবেন। নার্সদের ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদও জানান।
জঙ্গী দমনে মহিলা কুর্দ যোদ্ধারা। ছবি: এপি।
এ দিকে, শুক্রবার সাদ্দাম হুসেনের গ্রাম আওজা দখল করল ইরাকি সেনা। ইরাকি সেনা ও শিয়া মিলিশিয়ারা যৌথ ভাবে গ্রামটিতে আক্রমণ চালায়। সঙ্গে ছিল যুদ্ধ-হেলিকপ্টারও। আওজা সাদ্দাম হুসেনের বাথ পার্টির সদস্যদের নিয়ে তৈরি নাক্শবন্দি সেনার দখলে ছিল। ইরাকি সেনার মুখপাত্র কোসিম আটা জানান, আওজা-য় ৩০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সামারা থেকে আওজা যাওয়ার প্রধান সড়কটিও তাঁদের দখলে এসেছে বলে আটা-র দাবি। এই পথের পাশে প্রধানত সুন্নিরা বাস করেন। তাই মাঝেমধ্যেই এই পথে ইরাকি সেনার কনভয়ের উপরে গেরিলা-আক্রমণ হচ্ছে।
ইরাকি সেনা বাগদাদের দখল ধরে রাখতে সক্ষম হলেও তাদের পক্ষে হারানো এলাকা পুনর্দখল করা কঠিন বলে জানিয়েছেন মার্কিন সেনার ‘চিফ অফ স্টাফস’-এর চেয়ারম্যান মার্টিন ডেম্পসি। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সাহায্যের দরকার হবে বলে তিনি জানান। এরই পাশাপাশি, মসুলের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। একাধিক অপহরণ, খুনের ঘটনাও ঘটছে।
এরই মধ্যে ইরাকি সংসদের প্রথম অধিবেশনে নতুন সরকার গড়ার কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। শিয়া দলগুলি নতুন প্রধানমন্ত্রী নাম প্রস্তাব না করায় কুর্দ ও সুন্নিরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। এ দিন স্বায়ত্তশাসিত কুর্দস্থানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি তাঁদের সংসদের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব আনার কথা জানান। এ ভাবে পরোক্ষে তিনি নতুন সরকার গঠনের জন্য তিনি চাপ দিচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞদের মত।