Lok Sabha Election 2024

দু’শো কেজি বোমার মশলা উদ্ধার, ধৃত

বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই বিস্ফোরক থেকে কী তৈরি করা যায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দুয়ারে লোকসভা ভোট। এই আবহে মুর্শিদাবাদে একের পর এক বেআইনি অস্ত্র, গুলি, বোমা, বিস্ফোরক উদ্ধার হচ্ছে। গত ১০ দিনে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় অন্তত ১০টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। শনিবার দুপুরে বহরমপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ২০২ কেজি বিস্ফোরক। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা ডিসেম্বর মাস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি। তাতে অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বহরমপুরে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, তা মূলত বাজি তৈরির কাজে লাগে। তবে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের কিছু কিছু উপকরণ বোমা তৈরির কাজে লাগানো যায়। কী জন্য বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

বহরমপুরে বিস্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডে ধৃত সনাতন দাসকে রবিবার আদালতে তোলা হলে আট দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। বহরমপুরের গোয়ালজান বৈরাগীপাড়ার বাসিন্দা সনাতনের বাড়ির গুদাম থেকে সাত ধরনের প্রায় ২০২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তের জন্য এ দিন আদালতে সনাতনকে হেফাজতে চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই বিস্ফোরক থেকে কী তৈরি করা যায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা জানতে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নমুনা
পাঠানো হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সনাতনের বাড়ি থেকে পাথরের মতো দেখতে ২৫ কেজি পটাশিয়াম নাইট্রেট, পাউডারের মতো দেখতে ৯ কেজি পলিভিনাইল ক্লোরাইড, গুঁড়ো জাতীয় ২১ কেজি অ্যালুমিনিয়াম কাস্ট, পাউডারের মতো দেখতে ৬৩ কেজি বেরিয়াম ফ্লোরাইড, ১৭ কেজি অ্যালুমিনিয়াম নাইন, ৪৭ কেজি চারকোল, পাইরো পাউডার মিলিয়ে প্রায় ২০২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এই সব বিস্ফোরক কী কাজে লাগে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

তবে পুলিশ সূত্রের খবর, এই সব বিস্ফোরক বাজি তৈরিতে যেমন লাগে, তেমনই বোমা তৈরিতে লাগে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাইরে থেকে এই সব বিস্ফোরক এনে সনাতন গোপনে বিক্রি করত। জেলার বেশ কিছু খরিদ্দারের কাছে সেই বিস্ফোরক বিক্রি করেছে। তার সঙ্গে এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে বহরমপুরের বাজারপাড়ার সফিকুল শেখ নামে এক যুবক। তার খোঁজে বহরমপুর থানার পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। গত ১০ দিনে মুর্শিদাবাদ জেলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ টি বেআইনি অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি সহ ৮ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার
করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন