Lok Sabha Election 2024

তৃণমূলকে ‘কুকথা’, ফের অভিযুক্ত অভিজিৎ 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যে দিলীপকে সতর্ক করে নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার পর তমলুকের প্রার্থী, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা করেছেন— এই অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০২
Share:

নন্দকুমার বাজারে প্রচারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।মঙ্গলবার। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

প্রথমে দিলীপ ঘোষ, তার পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভোট প্রচারে দলীয় প্রার্থীদের কুকথা সামলাতেই জেরবার পদ্ম শিবির।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যে দিলীপকে সতর্ক করে নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার পর তমলুকের প্রার্থী, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা করেছেন— এই অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। ফের সেই অভিজিতের কুকথা ঘিরেই শোরগোল পড়েছে। গত রবিবার তমলুকে প্রচারের ফাঁকে দলীয় কর্মিসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অভিজিৎ তৃণমূলকে চোর, ছ্যাঁচড়, জানোয়ারের দল বলেছেন— এমনই অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। তার পর মঙ্গলবারও নন্দকুমারে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার দে-র নাম না করে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির অভিযোগ তুলে বিধায়ককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি।

তমলুকের তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘এতটা নীচে আমরা নামতে পারি না। ভাবতে খারাপ লাগছে, এক জন প্রাক্তন বিচারপতি তাঁর মুখে এ রকম ভাষা!’’ কমিশনে অভিযোগ করবেন? দেবাংশুর জবাব, ‘‘উনি তো নাম না করে আক্রমণ করছেন। নাম বলার সাহস নেই। তাই আমরা এখনও কমিশনে অভিযোগ করিনি।’’ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি আনন্দময় অধিকারী আবার মনে করিয়ে দেন, ‘‘দেবাংশুও এর আগে নিজের ভাড়া বাড়িতে পাওয়া সাপ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সেটা কুকথা নয়? আর অভিজিৎ কোন প্রেক্ষিতে তৃণমূল সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখতে হবে।’’

Advertisement

ঠিক কী বলেছিলেন অভিজিৎ? জানা যাচ্ছে, গত রবিবার তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই-২ পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মিসভা ছিল তাঁর। সেখানে মহিলাদের বিপুল উপস্থিতির প্রশংসা করে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘মহিলারা যদি এগিয়ে না আসেন, যদি সংকোচে ঘরে থাকেন, তা হলে এই চোর, ছ্যাঁচড়, দুর্বৃত্ত তৃণমূল রাজনীতির আঙিনা দখল করে নেবে। এই চোর, ছ্যাঁচড়ের শাসন আর আমরা চাই না।’’ তার পরই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই জানোয়ারেরা জানে না, মানুষ ভিখিরি নয়।’’

এ দিন নন্দকুমারের খঞ্চিতে আবার স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার দে-র নাম না করেই অভিজিৎ বলেন, ‘‘এই বিধায়কের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর উপার্জনের কোনও মিল নেই। তালিকা আমার কাছে এসে গিয়েছে। কী ভাবে এত সম্পত্তি করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে এবং তিনি হয়তো আবার তিহাড়ে চলে যেতে পারেন।’’ দেবাংশু-র নাম না করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘একটা ডেঁপো ছোকরা এখানে প্রার্থী হয়েছে। খেলা হলে খেলা হবে, ৬ গোল খেয়ে
বাড়ি যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন