Daggubati Purandeswari

‘আমাদের নয়, টিডিপি এবং জনসেনার ইস্তাহার’, দাবি বিজেপি সভানেত্রীর! অন্ধ্রে চিড় এনডিএ-তে?

অন্ধ্রের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের কন্যা পুরন্দেশ্বরী একদা ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ২১:৪২
Share:

বাঁ দিক থেকে, চন্দ্রবাবু, পবন কল্যাণ এবং পুরন্ধেশ্বরী। — ফাইল চিত্র।

লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগেই অন্ধ্রপ্রদেশে এনডিএ-র অন্তর্বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সে রাজ্যের বিজেপি সভানেত্রী ডি পুরন্দেশ্বরী বুধবার সরাসরি বিধানসভা ভোটে প্রকাশিত এনডিএর ইস্তাহারের দায় এড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওটি আমাদের নয়, শুধু তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনসেনার নির্বাচনী ইস্তাহার।’’

Advertisement

এনডিএর নির্বাচনী ইস্তাহারে যে প্রতিশ্রুতিগুলি দেওয়া হয়েছে, তার সবগুলির সঙ্গে বিজেপি সহমত নয় বলে জানিয়ে পুরন্দেশ্বরী বলেন, ‘‘আমরা ২০১৮ সালে যে ‘রায়লসীমা ঘোষণাপত্র’ জারি করেছিলাম, তার প্রতি এখনও দায়বদ্ধ। রায়লসীমার কুর্নুলকে আমরা অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, বিজেপির সহযোগী টিডিপির প্রধান তথা অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু বিধানসভা ভোটে যে ‘সুপার সিক্স’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাতে কুর্নুল-প্রসঙ্গ নেই।

অন্ধ্রের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের কন্যা পুরন্দেশ্বরী একদা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে চন্দ্রবাবুর সম্পর্ক বরাবরই ‘মধুর’। নব্বইয়ের দশকে শ্বশুর এনটিআরকে সরিয়ে চন্দ্রবাবু অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং টিডিপি সংগঠনের দখল নিয়েছিলেন। এর কিছু দিন পরেই পুরন্দেশ্বরী টিডিপি ছেড়ে কংগ্রেসে শামিল হন। কিন্তু ২০১৪ সালে মনমোহন সিংহের সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন তিনি।

Advertisement

অন্ধ্রে এ বার লোকসভা-বিধানসভা ভোটে টিডিপি এবং জনসেনার সঙ্গে সমঝোতা করেছে বিজেপি। রফাসূত্র অনুযায়ী সে রাজ্যের লোকসভার ২৫টি আসনের মধ্যে টিডিপি ১৭, বিজেপি ৬ এবং জনসেনা ২টিতে লড়ছে। বিধানসভার ১৪৪টি আসনের মধ্যে টিডিপি ১৪৪, জনসেনা ২১ এবং বিজেপি ১০টিতে প্রার্থী দিয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছেড়েছিল টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তারা একাই লড়াই করেছিল। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। ছ’বছর পরে আবার এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন