Lok Sabha Election 2024

পুজো দিলেন, অভিযোগও শুনলেন সৌমিত্র

সংস্কারের কাজ চলায় গত কয়েক মাস ধরে ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়া বন্ধ। ভক্তেরা লাগোয়া শৈলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। তবে এ দিন সৌমিত্র নির্মীয়মাণ ষাঁড়েশ্বর মন্দিরেই পুজো দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৬
Share:

প্রচারের আগে ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে সৌমিত্র। নিজস্ব চিত্র

ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটপ্রচার শুরু করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সোমবার সকালে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিষ্ণুপুরের ডিহরে ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে যান তিনি। সংস্কারের কাজ চলায় গত কয়েক মাস ধরে ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়া বন্ধ। ভক্তেরা লাগোয়া শৈলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। তবে এ দিন সৌমিত্র নির্মীয়মাণ ষাঁড়েশ্বর মন্দিরেই পুজো দেন।

Advertisement

পরে ডিহরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে প্রচার সারেন সৌমিত্র। প্রচারের মধ্যেই স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন। উলিয়াড়া পঞ্চায়েতের ডিহর এলাকার বিজেপির নির্বাচিত সদস্যেরাও নেতৃত্বদের কাছে না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই বিজেপিতে আসা। এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কিন্তু জয়ের পরেও দলের উচ্চ নেতৃত্বরা সে ভাবে যোগাযোগ রাখেননি। লোকসভা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে সৌমিত্র যদিও গ্রামগঞ্জের মানুষের সমস্যা মিটিয়ে এক সঙ্গে চলার বার্তা দিলেন।

এ দিকে, স্থানীয় ফেলু বাউরি, ভোলানাথ বাউরি, কাজল বাউরি, লালবাহাদুর বাউরিরা সাংসদকে কাছে পেয়ে বিরোধী দল করার জন্য বঞ্চনার শিকারের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, “বিজেপি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। কৃষিজমিতে সেচের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকেও বলেছি। তবে কেউই আমাদের সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।” সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন সৌমিত্র।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় তবে বলেন, “রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দা সমান সরকারি পরিষেবা ভোগ করেন। রাজনৈতিক রং দেখে পরিষেবা দেওয়ার ঘটনা ভিত্তিহীন। আসলে বিজেপি নিজেরাই দ্বিধাবিভক্ত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার।”

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরে এ দিনই প্রথম বার জেলায় এলেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এ দিন বিকেলে দিল্লি থেকে সরাসরি অন্ডাল বিমানবন্দরে নামেন সুভাষ। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেখানে ছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব-সহ বিজেপির বিধায়কদের একাংশও। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “ইতিমধ্যে সুভাষদার হয়ে দেওয়াল লিখন, প্রচার শুরু করেছি আমরা। ওঁকে কাছে পেয়ে দলের কর্মীরা উৎসাহ চেপে রাখতে পারছেন না।”

সুভাষ বলেন, “দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের তরফে যে ভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে গত বারের চেয়েও বেশি সমর্থন পাব বলে নিশ্চিত।”

তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর তবে দাবি, “ঘরে ঘরে ভোট চাইতে গেলেই মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সুভাষকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন