Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালি ভিডিয়োকাণ্ড: বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠকে বসছে বিজেপি

গোপন ক্যামেরায় তোলা একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার সকালে। সেখানে গঙ্গাধর কয়াল নামে স্থানীয় এক বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো’। আনন্দবাজার অনলাইন যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ ১৪:৪৫
Share:

সন্দেশখালির সেই ভিডিয়ো। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

সন্দেশখালির বিজেপি নেতার ভিডিয়ো ঘিরে রাজ্য জুড়ে হইচই! সেই আবহে শনিবার বিকেলে তারা সাংবাদিক বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সল্টলেকে বিজেপি দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন দলীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। সঙ্গে থাকবেন রাজ্য বিজেপির আইনি শাখার আহ্বায়ক লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, সন্দেশখালি-ভিডিয়োকাণ্ড নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা।

Advertisement

গোপন ক্যামেরায় তোলা একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার সকালে। সেখানে গঙ্গাধর কয়াল নামে স্থানীয় এক বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো’। আনন্দবাজার অনলাইন যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ওই ভিডিয়োতে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির ‘মণ্ডল সভাপতি’।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভিডিয়োতে যাঁকে দেখা গিয়েছে, সেই গঙ্গাধরের বাড়ি সন্দেশখালির সিংপাড়া এলাকায়। ক্যামেরার সামনে প্রশ্নকর্তা বলছেন, ‘‘ধর্ষণ হয় নাই, তাকে ধর্ষণ বলে চালিয়েছ! তোমার বাড়ির বৌকে দিয়ে এই কাজ করাতে পারতে? আমরা তো পারব না।’’ এই প্রশ্ন শুনে সম্মতিসূচক হাসি হেসেছেন গঙ্গাধর।

Advertisement

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গঙ্গাধর সভাপতি নন। দলের সমর্থক মাত্র। তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন বলেও দাবি করেছেন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বিবেক রায়। তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও ওঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। বছরখানেক আগে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের লোকজনের হাতে মারও খেয়েছিলেন।’’

রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োটি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল সব কিছুতেই সাজানো ঘটনা দেখে। সন্দেশখালির মহিলারা এসে কোর্টে তাঁদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। রেখা পাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারা দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনাকে কোনও ভাবেই তৃণমূল আড়াল করতে পারবে না।’’

এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভিডিয়োটি আমি দেখিনি। কার গলা খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে কথা বলব।’’

আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে গঙ্গাধরের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মোবাইল বন্ধ। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। এক ব্যক্তি সেই ফোন ধরে জানান, তিনি রেখার আপ্তসহায়ক। রেখা নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি। তাঁকে ভাইরাল ভিডিয়োর কথা বলতেই ‘কিছু বলতে পারব না’ বলে ফোন কেটে দেন। আর ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন